কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
বৃষ্টি বাড়লে এবং জল জমলে ডেঙ্গু বাড়বে, সরকারের সমালোচনা হবে, চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী-স্বাস্থ্যকর্তারা তারই মধ্যে কাজ করে যাবেন, এতে নতুনত্ব নেই। নতুনত্ব হল, এই তিন হাজার আক্রান্তের পাঁচ ভাগের এক ভাগেরও বেশি আক্রান্ত হাবড়ার বাসিন্দা। মৃতদের তালিকাতেও দু’জন হাবড়ার বাসিন্দা রয়েছেন। সেখানকার আরও পাঁচটি মৃত্যুর ঘটনা ডেঙ্গু কি না, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে।
কিন্তু, হাবড়া নিয়ে প্রশাসনের উদ্বেগ যে বাড়ছে, তাতে দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বলেন, এ বছর হাবড়ার অবস্থা অন্যান্য বছরের বাদুড়িয়া বা দক্ষিণ দমদমের চেহারা নিয়েছে। এদিন রাত পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, এলাকায় মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫০ পার করেছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব আঁচ করে খোদ মুখ্যমন্ত্রী হাবড়ার পরিস্থিতি নিয়ে দফায় দফায় খোঁজখবর নিচ্ছেন। তাঁর নির্দেশে পরিস্থিতির মোকাবিলায় এলাকায় বাড়তি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী পাঠানোও হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে ১৪ আগস্ট নবান্নে ডেঙ্গু নিয়ে মুখ্যসচিব মলয় দে’র নেতৃত্বাধীন সরকারের সর্বোচ্চ কমিটি বৈঠকে বসছে। দপ্তরের পদস্থ কর্তারা আশবাদী, হাবড়ার ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আগামী ক’দিনের মধ্যেই কমতে শুরু করবে। কারণ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সেখানে ডেঙ্গু তার ভয়াবহ চেহারা যা দেখানোর ইতিমধ্যেই দেখিয়ে দিয়েছে।
এক পদস্থ কর্তা জানান, গতবারের চেয়েও এবার ডেঙ্গু নিয়ে আরও বেশি প্রস্তুতি রয়েছে। যেটুকু খামতি রয়েছে ডাক্তার-নার্সদের প্রশিক্ষণে। গত ক’বছরের মধ্যে এ বছর ডেঙ্গুর কেস ম্যানেজমেন্টের জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় সাধনে আরও বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে খুব ভালো কাজ করছে সেচ ও পূর্ত দপ্তর। অন্যদিকে, গত বছরের তুলনায় কিছুটা হলেও খামতি রয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন এবং পঞ্চায়েত দপ্তরের।
দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্যে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে কমবেশি দুই হাজার জনই উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে তারপরই আসছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানে মোট আক্রান্ত প্রায় ৩০০। তিন নম্বর জায়গায় রয়েছে হাওড়া।