বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে চলতি সপ্তাহে দু’দিন ভারী বৃষ্টি পেয়েছে দক্ষিণবঙ্গ। কিন্তু তাতেও ঘাটতি মেটেনি। কৃষি দপ্তর সূত্রে পাওয়া পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, শুধু আগস্ট মাসে (৮ তারিখ পর্যন্ত সময়ে) এখনও পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে স্বাভাবিকের থেকে ২৬ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। এই সময়ে সার্বিকভাবে রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতি ছিল ৩২ শতাংশ। জুলাই মাসে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি ছিল ৩৬ শতাংশ।
কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহেও দক্ষিণবঙ্গে মাত্র ২০ শতাংশ জমিতে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছিল। তারপর আগস্টের শুরুতে বৃষ্টির মাত্রা বৃদ্ধির ফলে পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টাতে থাকে। গত মঙ্গলবার কৃষি দপ্তর পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করে। তখন দেখা যায়, প্রায় ৫০ শতাংশ রোপণের কাজ হয়েছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এটা বেড়ে ৬৫ শতাংশের আশপাশে চলে এসেছে বলে জেলা থেকে রিপোর্ট এসেছে। এই দফার বৃষ্টির পরে চূড়ান্ত রিপোর্ট সোমবার নাগাদ কৃষি দপ্তর পেয়ে যেতে পারে। বৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন হয়েছে। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে পুরুলিয়ার অবস্থা বেশি খারাপ। মঙ্গলবারের বৈঠকে পেশ হওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী পুরুলিয়ায় মাত্র ২৪ শতাংশ জমিতে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছিল।
আমন ধানের চাষ কার্যত বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল। এবার জুন মাসে বর্ষকাল শুরু হওয়ার পর থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি চলছে। জুন মাসে ঘাটতি ছিল ৫৯ শতাংশ। বৃষ্টি কম হওয়ায় চাষিদের বীজতলা করতে দেরি হয়েছে। জুলাই মাস থেকে বীজতলার কাজ শুরু হয় অল্প বৃষ্টির মধ্যে। সেচের জল দিয়ে বীজতলা তৈরি করা হয় অনেক জায়গাতে। কিন্তু ধানের চারা রোপণ করার জন্য প্রয়োজন ভারী মাত্রায় বৃষ্টি। সেটার অভাবই দেখা গিয়েছে এবার। আগগস্ট মাসে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু সেটাও স্বাভাবিকের থেকে কম। এই মাসের প্রথম আটদিনে সব থেকে ভালো বৃষ্টি পেয়েছে বর্ধমান। সেখানে স্বাভাবিকের থেকে ২০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। হাওড়া জেলায় স্বাভাবিকের থেকে এক শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই আটদিনেও যথাক্রমে ৫৩ ও ৪৪ শতাংশ ঘাটতি রয়েছে। ঘাটতি সবথেকে বেশি মুর্শিদাবাদ জেলায়। সেখানে স্বাভাবিকের থেকে ৭৫ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে আটদিনে। এই সময়ে নদীয়াতে ৪২ শতাংশ, বীরভূমে ৩৩ শতাংশ, বাঁকুড়ায় ৩৫ শতাংশ ও পুরুলিয়ায় ১৫ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে জুলাই পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু আগস্টে সেখানে দার্জিলিং ছাড়া সর্বত্রই ভালো ঘাটতি হয়েছে। আগস্টের প্রথম আটদিনে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সার্বিক ঘাটতি ৪১ শতাংশ।