বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
স্মরণসভার অন্যতম আমন্ত্রিত বক্তা ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান তথা সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য বিমান বসু। হাল আমলে কোনও নকশাল নেতার স্মরণসভায় বক্তা হিসেবে এর আগে তিনি হাজির হননি। সেই বিমানবাবু এদিন অকপটে বলেন, কাশ্মীরের সমস্যা কিন্তু গোটা দেশের সামনেই আজ অন্যতম বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষার বিষয় হিসেবেই এটা অনেকেই দেখছেন। এই অবস্থায় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এহেন অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিস্টসুলভ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সব ধরনের বাম দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই চালাতে হবে। বৃহত্তর পরিসরে যৌথ আন্দোলনের কথা মাথায় ছিল সন্তোষবাবুরও। ১৯৮২ সালে বিধানসভা ভোটের প্রচারের সময় প্রথম তাঁর সঙ্গে আমার আলাপ হয়। তারপর বহুবার নানা পরিস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে কথা হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে বাংলায় আমরা যে নানা ইস্যুতে বামফ্রন্ট এবং বাইরের বেশ কিছু সহযোগী বাম ও গণতান্ত্রিক দল যৌথ আন্দোলনের কর্মসূচি পালন করি, সেটা নিয়েও তাঁর সঙ্গে প্রথম আলোচনার সূত্রপাত হয়েছিল। বিজেপি বা তৃণমূলের মতো দক্ষিণপন্থী ক্ষমতাসীন দলগুলির ফ্যাসিস্টসুলভ ও জনস্বার্থবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এই ধরনের যৌথ আন্দোলনই এখন জরুরি দেশ ও রাজ্যে। আরএসপি নেতা মনোজবাবু বলেন, বামপন্থীদের শক্তি কমলে বিশ্বের সর্বত্র দক্ষিণপন্থীদের গাজোয়ারি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রবণতা বাড়ে। এখন ভারতেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এই অবস্থায় ছোট-বড় বা মতবাদের সঙ্কীর্ণতা নিয়ে বাম দলগুলিকে মেতে থাকলে চলবে না। দেশে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। নিজেদের বাঁচার জন্য সব সঙ্কীর্ণতা ত্যাগ করে এখন প্রয়োজন বামপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া।