কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
ফি নিয়ে ২০১৬-’১৭ সালে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর। সেই বিজ্ঞপ্তিকে উদ্ধৃত করে গত বছরের ২২ জুন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়, ২০১৬-’১৭ সালে যে ফি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল, সেটিই ২০১৭-’১৮ এবং ২০১৮-’১৯ সালে অনুসরণ করা হবে। একইসঙ্গে ফি-এর কাঠামোও তুলে ধরা হয়েছিল। তবে ২০১৯-’২০ সালের জন্য নতুন করে কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি বিকাশ ভবন। ভর্তি প্রক্রিয়ার একেবারে শেষ পর্বে এসে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে তারিখ হিসেবে ২২ জুলাই উল্লেখ রয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন ফি নির্ধারণের জন্য ১০ জুলাই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু কত টাকা নেওয়া হবে সেই বিষয় এখনও স্থির হয়নি। যতদিন না ফি নিয়ে নতুন কোনও সুপারিশ করা হচ্ছে, ততদিন গত বছরের বিজ্ঞপ্তি মেনেই কলেজগুলি ফি নিতে পারবে।
গতবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, প্রথম বর্ষে ৮০ হাজার, দ্বিতীয় বর্ষে ৮২ হাজার, তৃতীয় বর্ষে ৮৪ হাজার এবং চতুর্থ বছরে ৮৬ হাজার টাকা নিতে পারবে কলেজগুলি। বেঁধে দেওয়া ফি’র বাইরে কোনও কলেজ যাতে টাকা না নেয়, সেকথাও স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল। ভর্তি পর্ব শেষ হওয়ার পর প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এই বছর সেই বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়ায় কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। কয়েকটি কলেজ পুরনো হারে ফি নিলেও, অনেকেই এই ব্যাপারে কোনও তথ্য দিতে চায়নি। শিক্ষামহলের মতে, কলেজগুলি এই সুযোগে বাড়তি ফি নিয়ে থাকতে পারে।
এই নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠানো হলেও, সেটি উচ্চশিক্ষা দপ্তরের ওয়েবসাইটে তোলা হয়নি। অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, এমন বিজ্ঞপ্তি তারা প্রতি বছরই ওয়েবসাইটে দিয়ে থাকে, যাতে সাধারণ মানুষ ফি সম্পর্কে জানতে পারেন। শিক্ষক-অভিভাবকদের প্রশ্ন, পুরনো বিজ্ঞপ্তি মেনেই যখন ফি নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তখন তা ভর্তি প্রক্রিয়া শুরুর সময় কেন বলা হল না?