বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
শুধু শেষের দিকে নয়, রদবদল হয়েছে মেধাতালিকার উপর দিকেও। রায়গঞ্জ হাইস্কুলের ছাত্রী ক্যামেলিয়া রায় যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়েছিল। কিন্তু রিভিউ বা স্ক্রুটিনিতে তার এক নম্বর বেড়েছে। তাই তার নম্বর হয়েছে ৬৯০। ওই স্থানে কেউ ছিল না। তাই সে আর যুগ্মভাবে নয়, এককভাবেই তৃতীয় স্থানে রয়েছে। কিন্তু তার পরের কৃতীরা একধাপ করে নেমে গিয়েছে। ফলে, যারা দশম স্থানে ছিল, তাদের র্যা ঙ্ক হয়েছে একাদশ। নম্বর বাড়ার ফলে যারা দশম স্থানে এসেছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে চমকপ্রদ উত্থান বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র সৌগত পণ্ডার। তার নম্বর ৬৭৪ থেকে আট নম্বর বেড়ে হয়েছে ৬৮২। বাঁকুড়ারই বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতন হাইস্কুলের ছাত্রী অস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চার নম্বর বেড়ে হয়েছে ৬৮২। এছাড়াও আলিপুরদুয়ারের বারোভিশা হাইস্কুলের ছাত্র অরিন সাহা, কোচবিহারের দিনহাটা হাইস্কুলের ছাত্রী তন্নিষ্ঠা দত্ত, বাঁকুড়ার রামকৃষ্ণ মিশন সারদা বিদ্যাপীঠের ছাত্র অয়ন মণ্ডলের দু’নম্বর করে বাড়ার ফলে তারা দশম স্থানে উঠে এসেছে।
এবার মোট ৩৬,৮৭৪ জন পরীক্ষার্থী রিভিউ এবং স্ক্রুটিনির জন্য আবেদন করেছিল। রিভিউয়ে ২,৭০৩ জনের মধ্যে ৬৮৩ জনের নম্বর বেড়েছে। এবার স্ক্রুটিনিতে আবেদন ছিল গতবারের চেয়ে কিছুটা বেশি। মোট ৩৪,১৭১ জনের মধ্যে ৯,২১২ জনের নম্বর পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তনের হার ২৬.৯৬ শতাংশ। উত্তরবঙ্গ রিজিয়নে স্ক্রুটিনিতে নম্বর পরিবর্তনের হার সবচেয়ে বেশি, ৪৫.৭২ শতাংশ। মোট ৬,১৯৩টি উত্তরপত্র রিভিউ এবং মোট ১,০৮,৭০৫টি উত্তরপত্র স্ক্রুটিনির জন্য আবেদন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, আরটিআইয়ের মাধ্যমে খাতা দেখতে চেয়ে আবেদনও চলছে। তার ঠিকঠাক হিসেব অবশ্য পাওয়া যায়নি। কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১০,৫০,৩৯৭ জন। আবেদনের সংখ্যা থেকে বলা যায়, তার মধ্যে ৯৬ শতাংশের বেশি প্রার্থীই ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্ট।