বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ সাহায্যে মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় ‘আত্মসমর্পণ তথা পুনর্বাসন’ প্রকল্প চালু হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগেই। সেই প্রকল্পের মধ্যেই ছিল, যদি কোনও আত্মসমর্পণকারী মাওবাদী বা তাঁর পরিবারের কোনও সদস্য কারিগরি শিক্ষার মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আইটিআই পড়ার সুযোগ করে দিতে হবে। ওই সূত্রটি জানিয়েছে, সাফল্যের সঙ্গে এই প্রকল্প শুরু হলেও, আদিবাসী অধ্যুষিত জঙ্গলমহল এলাকার আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পরিবারের অনেকেই এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। কারণ আইটিআই’তে ভর্তি হওয়ার ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ হওয়ায় অনেকেই সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। আত্মসমর্পণ তথা পুনর্বাসন প্যাকেজকে যথার্থ আকার দিতে অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ নয়, এমন ছেলেমেয়েদেরও কীভাবে আইটিআই শিক্ষা দেওয়া যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়। এরপরই সিদ্ধান্ত হয়, চালু করা হবে প্রি-আইটিআই ফাউন্ডেশন কোর্স।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রি-আইটিআই ফাউন্ডেশন কোর্সের পাঠ্যক্রম কী হবে, তা ঠিক করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকের নেতৃত্বে একটি কমিটি ঠিক করা হয়েছে। কার কারা থাকবেন ওই কমিটিতে? কারিগরি শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আট সদস্যের ওই কমিটিতে জেলাশাসক ছাড়াও থাকবেন পুলিস সুপার, জেলা গ্রামোন্নয়ন সেলের প্রজেক্ট ডিরেক্টর, ডিস্ট্রিক্ট ওয়েলফেয়ার অফিসার, ডিস্ট্রিক্ট লেবার অফিসার, পশ্চিমবঙ্গ সোসাইটি ফর স্কিল ডেভেলপমেন্টের নোডাল অফিসার এবং আহ্বায়ক হিসেবে থাকবেন সংশ্লিষ্ট আইটিআই-এর প্রিন্সিপাল। ওই সূত্রটি জানিয়েছে, ফাউন্ডেশন কোর্স এবং আইটিআই শিক্ষা শেষে প্রার্থীদের রোজগার অথবা স্বনির্ভর হওয়ার ব্যবস্থা কীভাবে করা হবে, তাও ঠিক করবে এই কমিটি। কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় আত্মসমর্পণকারীর পরিবারের সদস্যরা যাতে আইটিআই শিক্ষার সুযোগ পান, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। যাঁরা অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ নন, ওই ফাউন্ডেশন কোর্সের মাধ্যমে তাঁদের মান সমতুল করা হবে। যে বা যাঁরা যোগ্য হবেন, তাঁরাই আইটিআই’তে কারিগরি শিক্ষার সুযোগ পাবেন।