বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
অন্যদিকে, স্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের ব্যানারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চান না। সেই কথা মাথায় রেখে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংস্থা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের তরফেও পৃথকভাবে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে। সংস্থার অধিকর্তা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায় বুধবার দিল্লি থেকে ফোনে বলেন, গত তিন বছর ধরে বাংলাজুড়ে জনসঙ্ঘের এই প্রতিষ্ঠাতাকে নিয়ে বিবিধ অনুষ্ঠান করেছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত সোমবার কাশ্মীর নিয়ে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রদান দেশের পক্ষে ক্ষতিকর, ৬৬ বছর আগে তা অনুধাবন করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। তাই ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের দাবিতে দক্ষিণ কলকাতার এই মানুষটি দেশের উত্তর প্রান্তে গিয়ে আত্মবলিদান দিয়েছিলেন। তাঁর এই কাহিনী প্রবুদ্ধ সমাজের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে জেলায় জেলায় ফাউন্ডেশনের তরফে একাধিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। অনির্বাণবাবুর কথায়, ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শাসকদল তৃণমূল বিরোধিতা করেছে। তাঁর প্রশ্ন, তৃণমূলনেত্রী কি নাশকতা-সন্ত্রাসবাদের পক্ষে? নাকি দেশের অখণ্ডতার পক্ষে? দেশবাসীকে তা স্পষ্ট করে জানাতে হবে। কারণ, এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই মোদির বিরোধিতায় গত ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের সভায় ফারুক আব্দুল্লাকে আদর করে ডেকে নিয়ে এসেছিলেন। যিনি এতদিন কাশ্মীরবাসীর স্বপ্নকে ভেঙেচুরে দিয়েছিলেন। রাজ্য বিজেপি সূত্রের দাবি, দুর্গাপুজো শুরুর আগেই প্রথম পর্যায়ে এই কর্মসূচি শেষ করে দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে ফের শ্যামাপ্রসাদকে নিয়ে মাঠে নামবে গেরুয়া পার্টি। কারণ, দল মনে করে, এখনও বাঙালি আবেগকে নাড়া দিতে সক্ষম ‘পশ্চিমবঙ্গের জন্মদাতা’।