বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
এমএলএ, এমপিদের মতো কিছুদিন আগে দলের জেলা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে সময় তিনি পঞ্চায়েত দপ্তরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মেনেই মঙ্গলবার থেকে পাঁচদিনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হল নিউটাউনের বিশ্ববঙ্গ কনভেনশন সেন্টারে। সেখানে পঞ্চায়েত দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব এম ভি রাও বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে বলেন। জেলা পরিষদের সদস্যরা বাংলার আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির কাজ অবিলম্বে শুরু করার দাবি জানান। উল্লেখ্য, বর্তমান অর্থবর্ষে ৮ লক্ষ ৩০ হাজার বাড়ি বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ওই সংখ্যক বাড়ির অনুমতিও দিয়েছে। কিন্তু এখনও সেই সব বাড়ি তৈরির অনুমতি দেওয়া যায়নি। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে সেই কাজ থমকে আছে বলে পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
এদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের উদ্বোধন করেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি ঘুরিয়ে কাটমানি প্রসঙ্গে বলেন, অনেক প্রকল্পের কাজ আপনাদের করতে হবে। দেখবেন যেন অভিযোগ না ওঠে। আপনারাই সাধারণ মানুষের কাছে নানা প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেন। নারেগা প্রকল্প, অর্থাৎ ১০০ দিনের কাজে ১২৩ রকমের কাজ হয়। এবার আমরা সম্পদ সৃষ্টির উপরে বিশেষ নজর দিয়েছি। আপনাদেরও সেদিকটা দেখতে হবে। এছাড়াও বাংলার গ্রামীণ সড়ক যোজনা, আরআইডিএফ, আনন্দধারা, বাংলার আবাস যোজনা, মিশন নির্মল বাংলা, গ্রামসশক্তিকরণ অর্থাৎ আইএসজিপিপি প্রভৃতি নানা প্রকল্প রয়েছে। সেই সব কাজ ভালোভাবে করতে হবে। আপনারা প্রতিটি প্রকল্পের খুঁটিনাটি বুঝে নিন। যাতে কাজ করার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা না হয়। আগামী চারদিন প্রতিটি প্রকল্পের খুঁটিনাটি বিষয় জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ সভাধিপতি, কর্মাধ্যক্ষ, সদস্যদের বুঝিয়ে দেবেন বিভিন্ন প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা।