বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
বর্তমান খাদ্য ভবনের সামনেই আটতলা উচ্চতার ঝাঁ-চকচকে, কর্পোরেট অফিসের আদলে নতুন খাদ্য ভবন তৈরির কাজ গত কয়েক বছর ধরে চলেছ। এখানে আগে শেডের তলায় খাদ্য দপ্তরের কিছু অফিস চলত। নতুন ভবনে মন্ত্রী সহ পদস্থ আধিকারিকদের চেম্বার থাকার পাশপাশি রেশন ব্যবস্থার যাবতীয় তথ্য মজুত রাখার সার্ভারও থাকবে। এখানে বসেই খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে রেশন ব্যবস্থার উপর নজরদারি চালাবেন। এই কাজের জন্য আরও কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। প্রায় এক হাজার নতুন ইন্সপেক্টর খাদ্য দপ্তরে যোগ দিতে চলেছেন। তাঁদের একটা অংশকে এই কাজে লাগানো হবে বলে জানা গিয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা থেকে বিশেষজ্ঞদের এই কাজে যুক্ত করা হবে।
রেশন দোকানে ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেলস (ইপিওএস) যন্ত্র চালু হওয়ার প্রক্রিয়া এখন জোরকদমে চলছে। খাদ্য দপ্তরের দাবি, রাজ্যে প্রায় ২০ হাজার রেশন দোকানের মধ্যে ৯ হাজারের মতো দোকানে ইতিমধ্যে এই যন্ত্র চালু হয়ে গিয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে রাজ্যের সব রেশন দোকানে যন্ত্রটি চালু হয়ে যাবে। রেশন গ্রাহকদের ডিজিটাল কার্ড ইপিওএস যন্ত্রে স্ক্যান করলেই খাদ্য সামগ্রী তোলার সব তথ্য দপ্তরের সার্ভারে জমা পড়ে যাবে। ডিলাররা প্রতি মাসে কী পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী পাচ্ছেন, সেটাও সার্ভারে থাকবে। ডিলাররা গ্রাহকদের কী পরিমাণে খাদ্য সামগ্রী দিচ্ছেন, তার উপর নজরদারি চলবে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে। তার ভিত্তিতেই ডিলারদের খাদ্য সামগ্রীর বরাদ্দ, কমিশন প্রদান করা হবে। এতে গণবন্টন ব্যবস্থায় অনেকটাই স্বচ্ছতা আসবে বলে দপ্তরের আধিকারিকরা মনে করছেন। ইপিওএস পুরোপুরি চালু হওয়ার পর রেশন গ্রাহকদের আধার নম্বর নথিভুক্তকরণের কাজ শুরু করা যাবে। তখন যন্ত্রে আঙুলের ছাপ দিয়ে আধার নম্বর যাচাই করে রেশনের খাদ্যসামগ্রী নিতে হবে। এটা করতে পারলে একশো শতাংশ স্বচ্ছতা আসবে বলে দপ্তরের আশা। আধার যাচাইয়ের প্রক্রিয়া ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পুরোপুরি চালু করে দিতে চাইছে দপ্তর। সব মিলিয়ে নতুন খাদ্য ভবন থেকে গোটা রাজ্যের রেশন ব্যবস্থার উপর অত্যাধুনিক নজরদারি চলবে।
পুরনো খাদ্য ভবনটিতেও দপ্তরের অফিসই থাকবে। কলকাতার কিছু অফিস পুরনো বাড়িতে নিয়ে চলা আসা হবে। ওই অফিসগুলি এখন মোটা টাকা ভাড়া দিয়ে নেওয়া বাড়িতে চলছে। কলকাতা, আসানসোল, দুর্গাপুরে বিধিবদ্ধ এলাকায় রেশনিং অফিসগুলি এখন নিজস্ব বাড়িতে নিয়ে আসা হচ্ছে। সরকারি ও পুরসভার জায়গায় ওই অফিসগুলি করা হয়েছে। মোট ৩৭টি রেশনিং অফিসের মধ্যে এখন ৯টি অফিস ভাড়া বাড়িতে চলছে। ওই অফিসগুলির জন্য নিজস্ব বাড়ি তৈরির কাজ চলছে। জেলায় সংশোধিত রেশন এলাকার ব্লক ভিত্তিক অফিসগুলিও এখন নিজস্ব বাড়ি থেকে চলছে। এর বাইরে সব জেলা ও মহকুমায় খাদ্য দপ্তরের নিজস্ব অফিস বাড়ি তৈরি হয়ে গিয়েছে। আগে জেলা ও মহকুমা পর্যায়েও ভাড়া বাড়ি থেকে অফিস চলত।