বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর, শুক্রবার যুব সংগঠনের রাজ্য এগজিকিউটিভ কমিটির বৈঠক ছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে। সেই বৈঠকেই বহিরাগতদের আগমন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের দুই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতাদের সম্পর্কে পারস্পরিক বিষোদ্গার করাকে কেন্দ্র করে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন দুই শিবিরের নেতারা। তার জেরেই প্রদেশ দপ্তরের সামনে দু’পক্ষের মধ্যে এক দফা মারামারি হয়। রাজ্য যুব সংগঠনের সহ সভাপতি রোহন মিত্র গোষ্ঠীর সমর্থক তথা অন্যতম সম্পাদক মহম্মদ ওয়াইসকে সেই সময় বিরুদ্ধ শিবিরের লোকজন মারধর করে বলে অভিযোগ। এই মারধরে সাইনা জাভেদ, হবিবুর রহমানের মতো যুব কংগ্রেসের নেতানেত্রীরা শামিল ছিলেন বলে ওয়াইস অভিযোগ করেন এন্টালি থানায়। সাইনা-হবিবুররা ঘটনাচক্রে রোহন-বিরোধী শিবির তথা যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সাদাব খানের অনুগামী বলে পরিচিত। এই শিবিরের প্রতি অধীর চৌধুরী-আব্দুল মান্নানদের প্রশ্রয় রয়েছে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। যুব কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক হবিবুরের পাল্টা অভিযোগ, প্রথমে তাঁকে প্রদেশ দপ্তরের সামনে এক দফা মারা হয়। তারপর রাজাবাজারে তসবির মহল সিনেমা হলের সামনে ফের রোহনের অনুগামী কিছু লোকজন তাঁকে পেটায়। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তিনি চিকিৎসা করান। পরে নারকেলডাঙা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। রোহনের বক্তব্য, ঘটনার সময় তিনি আদৌ প্রদেশ দপ্তরে ছিলেন না। তাছাড়া কারা বহিরাগতদের নিয়ে এসে হামলা চালিয়েছিল, সেটা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে সব ধরা আছে। পুলিস চাইলে আমরা সেটা পুলিসের হাতে তুলে দেব। যুব সংগঠনের এই কোন্দল নিয়ে সোমেন-অধীর-মান্নানরা কোনও মন্তব্য করেননি। যদিও এই ঘটনার খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ মান্নান বিরোধী দলনেতা হিসেবে হাইকমান্ডের প্রতিনিধি গৌরব গগৈয়ের সঙ্গে তাঁর ডিনার-বৈঠক বাতিল করে দেন।