বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন খুব খারাপ। কাউকে ঢুকতে দেয় না। ১০ জন দলিতকে গুলি করে মারা হয়েছে। গোটা রাজ্যে ১১০০ জন এনকাউন্টারে মারা গিয়েছেন। এগুলো দেখা উচিত। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এখন ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন, আরও আগেই যাওয়া উচিত ছিল। ১৪৪ ধারার মধ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হলে মনে রাখবেন, সেটা বিজেপি করে। ১৪৪ ধারা উঠলেই ওরা ৫০টি গাড়ি নিয়ে ঢুকে যায়। ওরা কিছুই মানে না। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে মাত্র চারজনকে নিয়ে যেতে দিয়েছিল। ভাটপাড়ায় তো আমরা ঢুকতে দিয়েছি, উত্তরপ্রদেশে ওরা দিচ্ছে না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ডেরেক ও’ব্রায়েনের নেতৃত্বে সাংসদদের এক প্রতিনিধিদল এদিন সকাল সাড়ে ন’টায় বারাণসী বিমানবন্দরে যায়। প্রতিনিধিদলে আরও দুই সাংসদ রয়েছেন। তাঁরা হলেন সুনীল মণ্ডল ও আবির বিশ্বাস। তাঁরা বিমানবন্দর থেকে বেরতেই পুলিস তাঁদের বাধা দেয়। বলা হয়, সোনভদ্রে যেতে দেওয়া যাবে না। পুলিস সুপার এসে বলেন, আপনারা বিএইচইউ ট্রমা সেন্টারে যেতে পারবেন। কিন্তু সোনভদ্রে যেতে দেওয়া হবে না। এই নিয়ে ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় পুলিস সুপারের। ওই তিন সংসদ সদস্য টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের মেঝেতে বসে পড়েন। পুলিস তাঁদের উঠে যেতে বললেও ওঠেননি। পরে বেলা ১২টা নাগাদ স্থানীয় জেলাশাসক এসে ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে কথা বলেন। ডেরেক সহ তিন সাংসদ সোনভদ্রে যেতে চান। কিন্তু তাঁদের যেতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
পরে পুলিস পাহারায় বিএইচইউ ট্রমা সেন্টারে পাঁচজন আহতকে দেখতে যান তৃণমূল সাংসদরা। সামনে পিছনে পুলিস কনভয় করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা আহতদের দেখেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের আবার বিমানবন্দরে ফিরিয়ে আনা হয়। পরে ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, সোনভদ্রে দলিতদের নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। আমরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিস আমাদের যেতে দেয়নি। পরে বিএইচইউ ট্রমা সেন্টারে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করি। অল্প বয়সের ছেলেরা আহত হয়েছে। একজন মহিলা গুরুতর জখম হয়েছেন। পুলিস পাহারায় আমাদের বিমানবন্দরে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বিমানবন্দরে ফিরে ফের ধর্নায় বসেন ডেরেক ও’ব্রায়েনরা। তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। যাঁকে শুক্রবার আটকে দিয়েছিল পুলিস। তিনি ২৬ ঘণ্টা ধর্নার পর চারজনকে নিয়ে সোনভদ্রে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন।