বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ২১শে জুলাইয়ের দিনটিতে শহরে আসা লক্ষ লক্ষ তৃণমূল সমর্থকদের জন্য একাধিক ছোট-মাঝারি-বড় মেডিক্যাল ক্যাম্পের আয়োজন করে তৃণমূলের ডাক্তার সংগঠন। সেগুলি হয় শিয়ালদহ, হাওড়া, বাগবাজার, ধর্মতলা, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, সেন্ট্রাল পার্ক, বাবুঘাট, পাথুরিয়াঘাট প্রভৃতি স্থানে। এর মধ্যে রাজ্যের প্রভাবশালী পিডিএ নেতাদের ভিড় বেশি দেখা যায় শিয়ালদহ এবং ধর্মতলার ক্যাম্পে। এবারও ১৯ জুলাই থেকে কমবেশি বহু ক্যাম্প চালু হয়ে গিয়েছে। চলবে ২২ জুলাই পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, মেডিক্যাল ক্যাম্পগুলিতে এবার ৪৮২ জন ডাক্তার থাকছেন। তিন ভাগের এক ভাগই সরকারি। ২৭৫ জন আয়ূশ শাখার। বাকিরা নার্স।
অভিযোগ উঠেছে, ক্যাম্প থেকে বিলি করার জন্য কয়েক হাজার ওষুধের স্যাম্পল হাসপাতালের রোগীদের ওষুধের স্টোর থেকে গিয়েছে শিয়ালদহ সহ কয়েকটি ক্যাম্পে। এনআরএস সহ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে সরকারি ডাক্তারদের ক্যাম্পে আসা-যাওয়ার জন্য। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের বিভাগীয় বৈঠকে ২১শে জুলাইয়ের মিটিং-এর জন্য ‘ইচ্ছুক’ চিকিৎসক এবং জুনিয়র ডাক্তারদের তালিকা চেয়েছিলেন পিডিএ’র প্রভাবশালী নেতারা। তারপরই বিভিন্ন বিভাগ থেকে তালিকা আসে এবং সেই তালিকা একত্রিত করে তৈরি হয় বিভিন্ন ক্যাম্পের রোস্টার। তেমনই দু’টি রোস্টার ভাইরাল হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ-এ।
এ বিষয়ে এসইউসি সমর্থিত ডাক্তার সংগঠন সার্ভিস ডক্টর্স ফোরামের রাজ্য সম্পাদক ডাঃ সজল বিশ্বাস বলেন, প্রতিবারই সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার হচ্ছে রাজনৈতিক প্রয়োজনে। এবারও তাই। বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি’র রাজ্য সহ-সভাপতি ডাঃ ইন্দ্রনীল খান বলেন, এসব বরদাস্ত করা যায় না। দু’টি কাগজ তো ভাইরাল হয়েছে। এক্ষেত্রে ‘ইচ্ছুক ডাক্তারদের’ বলে কথা হয় না। কারণ, ওঁদের সবাইকেই জোর করে আনা হচ্ছে। আর সত্যিই যদি ইচ্ছুক জুনিয়র ডাক্তাররা আসতেন, তাহলে ক’দিন আগে এত বড় আন্দোলন হতো? এ বিষয়ে পিডিএ’র রাজ্য সম্পাদক ডাঃ সাক্ষীগোপাল সাহা বলেন, অবান্তর কথাবার্তা বলছেন বিরোধীরা। বিভাগীয় বৈঠকে আমরা ইচ্ছুকদের তালিকা চেয়েছি ঠিকই, কিন্তু কোনও জোর করা হয়নি। তাছাড়া ২১ জুলাই সরকারি ছুটির দিন। সরকারি ডাক্তাররা যাঁরা আসছেন, সবাই সিএল নিয়ে আসছেন। কাজ নেই বিরোধীদের, তাই এসব ফালতু বলছে।