বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
শিক্ষামন্ত্রী বৈঠক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের জানান, সরকার তাঁদের দাবি মতো বেতন দিতে পারছে না আর্থিক কারণেই। এতে সরকারের উপর প্রায় চার হাজার কোটি টাকার বোঝা চাপবে। ৯০০ কোটি টাকা বাড়তি ব্যয়ভার নিয়ে তাঁদের গ্রেড-পে বাড়াতে সরকার রাজি। কিন্তু তাতে শিক্ষকরা রাজি হচ্ছেন না বলে আক্ষেপ পার্থবাবুর। প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকার গ্রেড-পে ৬০০ টাকা বাড়িয়ে ৩২০০ টাকা করতে রাজি। তাতে মাসিক প্রায় ছ’হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন বাড়তে পারে প্রাথমিক শিক্ষকদের। কিন্তু তাতে উস্থির শিক্ষকরা রাজি নন। এদিন দিলীপ ঘোষের অনশন মঞ্চে আসা নিয়েও কটাক্ষ করেন পার্থবাবু। তিনি বলেন, দিলীপবাবু যদি এতই সহমর্মী হন, তাহলে কেন্দ্রকে বলে টাকার ব্যবস্থা করুক। এত বিপুল টাকার সংস্থান রাজ্য করবে কীভাবে? আর কেন্দ্র তো টাকাই দেয় না। মিড ডে মিলের টাকা দেয় না, রাঁধুনিদের বেতন বাড়ায় না, তারা নাকি বেতনের টাকা দেবে। ঘুরিয়ে সব্যসাচী দত্তর সমালোচনা করে বলেন, যিনি পারছেন, তিনিই শিক্ষকদের অনশন মঞ্চে চলে যাচ্ছেন। তিনি জানেনই না যে, ওটা ট্রেড ইউনিয়ন নয়। ট্রেড ইউনিয়ন এবং শিক্ষক সমিতির পার্থক্য বুঝতে হবে।
উস্থির প্রতিনিধিরা তাঁদের সংগঠনের ১৪ জন সদস্যের বদলি নিয়েও দরবার করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বেতন নিয়ে আন্দোলনে নামার কারণেই তাঁদের প্রতিহিংসামূলক বদলি করা হয়েছে। পার্থবাবু সে প্রসঙ্গে জানান, শুধু ১৪ জনকে নয়, মোট প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে। সেটা করা হয়েছে যেখানে কম শিক্ষক রয়েছেন, সেখানে পাঠানোর উদ্দেশ্যে। যদি দেখা যায়, এই ১৪ জনকে এটা ছাড়া অন্য উদ্দেশে বদলি করা হয়েছে, তাহলে সেটা সোমবারের মধ্যেই বাতিল করা হবে। পার্থবাবু এদিন ফের আহ্বান জানান, ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে শিক্ষকরা যেন অনশন অবস্থান ছেড়ে ক্লাসে ফেরেন।