বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
কেএমডিএ-র কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে এখন এক হাজারের মতো সদস্য আছেন। সদস্যরা মাসে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা দেন। অবসরের পর সুদ সহ জমা টাকা তুলে নেওয়া যায়। তার আগেও জরুরি প্রয়োজনে সোসাইটি থেকে ঋণ নিতে পারেন সদস্যরা। প্রতি মাসের বেতন থেকে কর্মীদের নির্ধারিত করা টাকা সোসাইটির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে যায়। সোসাইটির সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ও অবসরজনিত কারণে টাকা মঞ্জুর করা হয় প্রতি মাসে। ব্যাঙ্কের লেনদেন বন্ধ হয়ে গেলে সবাই অসুবিধায় পড়বেন।
গত ২০১৪ সালে সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে কেএমডিএ-র ক্রেডিট সোসাইটির পরিচালন সমিতি গঠিত হয়। চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ সহ মোট ১২ জন পরিচালন সমিতিতে আছেন। প্রথমে গৌতমবাবু সম্পাদক ছিলেন। পরে চেয়ারম্যান হন। পরিচালন সমিতির পাঁচ বছরের মেয়াদ চলতি বছরেই শেষ হওয়ার কথা। রাজ্যে পরিবর্তনের পর ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত সংগঠনের সদস্যরা পরিচালন সমিতিতে ক্ষমতায় আসেন। আগে এটি বামেদের দখলে ছিল। এখন যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে, তার পিছনে দলবাজি আছে বলে অনেকে মনে করছেন। গৌতমবাবু কিছুদিন আগে কেএমডিএ-তে বিজেপি প্রভাবিত কর্মী সংগঠনের আহ্বায়ক হয়েছেন। কেএমডিএ-তে বিজেপি প্রভাবিত আরও একটি সংগঠন তৈরি হয়েছে। ওই সংগঠনের তরফে সাধারণ সম্পাদক মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় কো-অপারেটিভ সোসাইটির এই টানাপোড়েনের বিষয়টি লিখিতভাবে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এই ঘটনাটির তদন্ত করার দাবিও করেছেন তিনি। কারণ এই সোসাইটির সঙ্গে বহু কর্মীর আর্থিক স্বার্থ জড়িত আছে।
গৌতমবাবুর দাবি, তাঁর অজান্তে সোসাইটিতে আর্থিক অনিয়ম চলছে। অনেক কর্মী আবেদন করে টাকা পাচ্ছেন না। অবসরপ্রাপ্তদের টাকার জন্য মাসের পর মাস ধরে ঘোরানো হচ্ছে। আর্থিক অনিয়ম যাতে না হয়, তার জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ করার জন্য তিনি চিঠি দিয়েছেন। পুরী ও দীঘাতে সোসাইটির হলিডে হোম নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন তিনি। অন্যদিকে চন্দনবাবু জানিয়েছেন, কোনও অনিয়মই হয়নি। তাঁদের কাছে সব হিসেব রয়েছে। আসলে কয়েকজনের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিরোধের কারণে চেয়ারম্যান অসত্য অভিযোগ করেছেন।