বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
হাতে বাকি আর মাত্র তিনদিন। তাই জোরকদমে শুরু হয়েছে প্রচার, ‘ধর্মতলা চলো’। এদিন বেহালায় নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের কর্মীদের নিয়ে শহিদ দিবসের প্রস্তুতি সভা করেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গত লোকসভা ভোটে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থবাবু বলেন, এবারের একুশে জুলাই একদিকে যেমন ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির সমাবেশ, তেমনই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনী সংস্কারের ডাক দেবেন দলনেত্রী। ইভিএম নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের ভোটের ফলাফলও সেই সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। তাই মুখ্যমন্ত্রী ভোটে ব্যালট ফেরানোর দাবিতে সরব হয়েছেন। উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই সচিত্র পরিচয়পত্রের দাবিতে মমতা মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। সেখানেই পুলিসের সঙ্গে সংঘাতে ১৩ জন মারা যান। পরের বছর থেকে মমতা এই দিনটিকে শহিদ দিবস হিসেবে স্মরণ করে আসছেন।
গত লোকসভা ভোটে তৃণমূলের আসন সংখ্যা কমে গিয়েছে। ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পর ধর্মতলার বাৎসরিক এই কর্মসূচিতে কি তার প্রভাব পড়বে? শোভনদেববাবু সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর উল্টে দাবি, আসন সংখ্যা কমেছে ঠিকই, কিন্তু সামগ্রিকভাবে ভোট বেড়েছে তৃণমূলের। অর্থাৎ আমজনতার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। স্বভাবতই, একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ নিয়ে তাঁরা আত্মবিশ্বাসী। তবে উত্তরবঙ্গের মানুষ কতটা এই সমাবেশে যোগ দিতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে শোভনদেববাবুর মনে। উত্তরবঙ্গের ছ’টি জেলায় একটি আসনও জিততে পারেনি তৃণমূল। শোভনদেববাবু বলেন, লোকসভায় আসন না পাওয়ার সঙ্গে দলের জমায়েতের কোনও সম্পর্ক নেই। গত কয়েক দিনের বর্ষায় উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়ানোই দলের কাজ। তাই ধর্মতলায় সমাবেশে আসা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। যদিও ওই দিন বরাবরের মতো মমতার কথা শুনতে এবং শহিদদের স্মরণ করতে সভা উপচে পড়বে। ভিড়ের নিরিখে অতীতের রেকর্ড ভাঙবে বলে প্রত্যয়ী রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী।