বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এ ব্যাপারে আজ মালদহ উত্তরের বিজেপি সংসদ সদস্য তথা লোকসভায় বঙ্গ বিজেপির হুইপ খগেন মুর্মু বলেন, ‘সুযোগ পেলে আমরা অবশ্যই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে অভিযোগ জানাব। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর এতদিন কেটে গেলেও এখনও বাংলার বিজেপি কর্মীদের উপর লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এই পরিস্থিতি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী নিজে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করলে তার থেকে ভালো আর কিছু হতে পারে না।’ অর্জুন সিং বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে যা জানতে চাইবেন, তারই বিস্তারিত খতিয়ান দেওয়া হবে। যেভাবে অগণতান্ত্রিক উপায়ে একজন এমপির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন, তাও জানানোর চেষ্টা করব।’ দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নয়। কীভাবে ক্রমাগত রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের অসহযোগিতায় একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাংলার মানুষ, তাও তুলে ধরা হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে।
এমনিতেই বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে আরও বেশি করে জাতীয়স্তরে সোচ্চার হতে ইতিমধ্যেই দলের বাংলা এমপিদের নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। সেইমতো সংসদে সুযোগ পেলেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ‘তৃণমূলী সন্ত্রাস’, কাটমানি, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের রূপায়নে রাজ্য সরকারের ‘অসহযোগিতা’র মতো একাধিক ইস্যুতে সরব হয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য তাঁর কাছে পৌঁছে দিতে চাইছেন বাংলার বিজেপি সংসদ সদস্যরা। জানা যাচ্ছে, আগামীকালের প্রাতঃরাশ বৈঠকে কিছু বলার জন্য প্রতি এমপিকে মিনিট দু’য়েক সময় দেবেন মোদি। অর্থাৎ বাংলার তিন এমপির জন্য বরাদ্দ মোট ছ’মিনিট সময়েই রাজ্যের পুরো পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করার জন্য কোমর বাঁধছে বঙ্গ বিজেপি।