উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, বাংলার মহিলারা আত্মসম্মান নিয়ে থাকতে পারছেন না। প্রায় প্রতিদিন ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। তার বিচারও হচ্ছে না। খগেন মুর্মু ও লকেট চট্টোপাধ্যায় একযোগে জানিয়েছেন, রাজ্যের বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে সংসদে তাঁরা সোচ্চার হবেন। অন্যদিকে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের এমপি দিলীপ ঘোষের দাবি, বাংলায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সংসদে যা যা করার করব। পাশাপাশি রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পুরো সুযোগ রাজ্যবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে দিল্লিতে দরবার করব। তবে দুঃখের বিষয়, কেন্দ্রীয় সরকার কিছু করতে গেলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে বাধা দেন। তাঁরই নির্দেশে রাজ্যের মানুষ আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মতো যুগান্তকারী চিকিৎসা বিমার সুবিধা থেকে বঞ্চিত। রাজ্যের কৃষক ভাইরা মোদি সরকারের এককালীন ছয় হাজার টাকার আর্থিক সহায়তার মুখ দেখতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ।
এদিকে, দিল্লিতে এদিন সর্বদল বৈঠকের পাশাপাশি বিজেপির নিজস্ব এমপি’দের প্রতিনিধিদের নিয়ে সংসদীয় কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে প্রত্যেক রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের মুখ্যসচেতক এবং মহিলাদের প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। জানা গিয়েছে, আজ এবং আগামীকাল মঙ্গলবার এমপি’দের শপথগ্রহণ পর্ব চলবে। তারপর রাষ্ট্রপতি রামলাল কোবিন্দ সংসদে ভাষন দেবেন। পরবর্তী পর্যায়ে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর বিতর্ক শুরু হবে। খগেনবাবুর দাবি, তারই মাঝে অধিবেশনের ‘জিরো আওয়ার’ এবং ‘মেনশনে’ বাংলার বর্তমান করুণ অবস্থার কথা সংসদে তুলে ধরা হবে। সবমিলিয়ে বিজেপির জন্মলগ্ন থেকে এ রাজ্যের ১৮ জন বিজেপি এমপি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেনি। লোকসভায় গেরুয়া বাহিনীর এই শক্তিবৃদ্ধি আগামীদিনে বাংলার জন্য কতটা লাভজনক হয়, এখন সেটাই দেখার।