উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
শুক্রবার নবান্ন ও রাজভবনের দুই প্রধানের মধ্যে সরাসরি কোনও যোগাযোগ না হলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শনিবার কেশরীনাথের দ্বিতীয় চিঠি পেয়ে অবশ্য চুপ থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এদিন সন্ধ্যার মুখে রাজ্যপালের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রথমে। এনআরএস কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তার নিগ্রহের ঘটনায় পুলিস অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে, তা উল্লেখ করে আন্দোলনকারীদের সামগ্রিক দাবি পূরণে সরকারের নানাবিধ পদক্ষেপের কথা জানান রাজ্যপালকে। সন্ধ্যার পর এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সবিস্তারে একটি লিখিত জবাবও পাঠান রাজভবনে। সরকারের অবস্থান জেনে মোটামুটি সন্তুষ্ট হন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রের খবর অন্তত তেমনই।
স্বাস্থ্য পরিষেবার এই অচলাবস্থা দূর করতে দিন তিনেক আগে থেকেই সক্রিয় হন রাজ্যপাল। দফায় দফায় তিনি রাজভবনে আন্দোলনরত চিকিৎসক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। আন্দোলনকারী চিকিৎসক নেতারা তাঁকে প্রতিবারই জানিয়ে দেন, সরকার তাঁদের দাবি মানলে তাঁরা কাজে যোগ দেবেন তৎক্ষণাৎ। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার তিনি প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গোটা বিষয়টি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর কোর্টে থাকায় ওইদিন ফোনে মমতার সঙ্গে কথা বলারও চেষ্টা করেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর তরফে কোনও সাড়া না পেয়ে রাতে একটি চিঠি পাঠান তাঁকে। চিঠিতে জুনিয়র ডাক্তার নিগ্রহের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করার উপর জোর দেন। রাতেই বেসরকারি হাসপাতলে গিয়ে এনআরএস কাণ্ডে গুরুতর আহত ডাঃ পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে দেখেও আসেন। কিন্তু এতসবের পর ওইদিন অনেক রাত পর্যন্ত রাজভবনে জেগে থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কোনও সাড়া না পেয়ে খানিকটা বিরক্ত হন কেশরীনাথ।
এরপর শনিবার ফের সকাল থেকে সক্রিয় হন রাজ্যপাল। নবান্নের পাশাপাশি আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তার সংগঠনগুলির কাছে রাজভবনের তরফে বার্তা পাঠানো হয়, সহমত হয়ে সবাই চাইলে তিনি এনিয়ে মধ্যস্থতার কাজ করতেও রাজি আছেন। তাঁর একটাই চাহিদা, ইগো ছেড়ে সব পক্ষ আলোচনায় বসুক। সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও সাড়া না পেয়ে তিনি ফের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে তাঁর উদ্বেগ এবং প্রশাসনের করণীয়’র কথা মনে করিয়ে দেন। তবে বারবার তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করার পরও মুখ্যমন্ত্রীর তরফে সাড়া না পাওয়ায় তিনি যে যথেষ্ট হতাশ ও মর্মাহত হয়েছেন, দ্বিতীয় চিঠিতে তারও ইঙ্গিত দেন কেশরীনাথ। এরপরই অবশ্য বরফ কিছুটা গলে। মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি ফোন করে কথা বলেন রাজ্যপালের সঙ্গে। শুধু তাই নয়, গোটা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা ফোনে জানানোর পাশাপাশি জবাবি চিঠি পাঠিয়েও কেশরীনাথকে অবহিত করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাজ্যপালের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রাজভবন সূত্রের খবর, সব জেনে রাজ্যপাল আন্দোলনরত চিকিৎসক সংগঠনগুলিকে জানান, মুখ্যমন্ত্রী ও তাদের মধ্যে আলোচনার ব্যাপারে মধ্যস্থকারীর ভূমিকা পালন করবেন তখনই যখন ডাক্তাররা তাঁদের কর্মবিরতি তুলে নিয়ে কাজে যোগ দেবেন। এবিষয়ে সব সংগঠনের ঐক্যমতের প্রস্তাব লিখিত আকারে রাজভবনে পাঠালে তবেই তিনি এব্যাপারে উদ্যোগী হবেন।