উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
গত শুক্রবারের ঘটনা। শিয়ালদহ স্টেশনের দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মের একেবারে শেষের দিকে ট্রেনে ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল কয়েকজন দুষ্কৃতী। গোপন সূত্রে খবর যায় শিয়ালদহ রেল পুলিসের কাছে। পুলিসের বিশেষ অভিযানে ধরা পড়ে যায় পাঁচজন। রেল পুলিসের এক কর্তার কথায়, গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্তদের এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেখানে পরিষেবা বন্ধ থাকায় ফিরে আসতে হয়। অভূতপূর্ব এই পরিস্থিতিতে শরণাপন্ন হতে হয় রেলের। সমস্যাটি রেলের এক অফিসারকে জানানো হয়। যাতে রেলের বি আর সিং হাসপাতালে অভিযুক্তদের মেডিক্যাল টেস্ট করানো যায়। সেই চেষ্টা সফল হয়। রেলের হাসপাতাল থেকেই ধৃতদের মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছিল।
রেল পুলিস সূত্রের খবর, রেলের স্টেশনগুলি থেকে হামেশাই নাবালক-নাবালিকাদের উদ্ধার করা হয়। প্রতি ক্ষেত্রেই বিধি মেনে প্রথমে তাদের মেডিক্যাল টেস্ট করাতে হয়। কয়েকদিন আগে কলকাতা টার্মিনাল স্টেশন থেকে তিনজন নাবালককে উদ্ধার করা হয়েছিল। তাদের বয়স আট থেকে ১০ বছর। প্রত্যেকেরই বাড়ি সমস্তিপুরে। কথায় কথায় নাবালকরা পুলিসকে জানিয়েছিল, কলকাতা দেখার উদ্দেশ্য নিয়েই তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছিল। তাদের উদ্ধারের পর আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, সেখানে পরিষেবা বন্ধ থাকায় নাবালকদের মেডিক্যাল টেস্ট করানো সম্ভব হয়নি। পরে উদ্ধার হওয়া নাবালকদের ‘চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি’র হাতে তুলে দেওয়া হয়।
রেল পুলিসের এক কর্তার কথায়, গ্রেপ্তারই হোক বা নাবালক উদ্ধার, মেডিক্যাল টেস্ট করাতেই হয়। এটা আদালতের নির্দেশ। কিন্তু, বর্তমানে যা পরিস্থিতি চলছে, তাতে সেই কাজ করতে অনেক সময়ই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। মেট্রো রেলের ক্ষেত্রেও কি একই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুলিসকে? মেট্রো রেলে যাত্রী নিরাপত্তায় রয়েছে মেট্রো রেল পুলিস (এমআরপি)। এমআরপি’র এক অফিসার বলেন, মেট্রো রেলে কোনও অভিযুক্তকে ধরা হলে, তাকে সংশ্লিষ্ট থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। বাকি দায়িত্বও সেই থানার।