উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
গত রবিবারও ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক সংঘর্ষের পরিস্থিতি নিয়ে ‘অ্যাডভাইসারি’ পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। তবে আজ তার সুর চড়িয়েছে মোদি সরকার। ২০১৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজনৈতিক সংঘর্ষ বাড়ছে বলে চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে চেয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সময়ে রাজ্যে কত রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, কতজন হিংসার বলি হয়েছে, তা উল্লেখ করার পাশাপাশি রাজ্যের থেকে রিপোর্টও চেয়ে পাঠালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যা আগের অ্যাডভাইসারিতে ছিল না। সংঘর্ষে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মমতার সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তাও জানতে চেয়েছে কেন্দ্র।
রাজ্যকে পাঠানো ‘পরামর্শে’ আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলেছে, গত চার বছরে পশ্চিমবঙ্গে সংঘর্ষ ক্রমশ বেড়েছে। ২০১৬ সালে ৫০৯ টি রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। মারা গিয়েছিল ৩৬ জন। ২০১৮-তে রাজনৈতিক সংঘর্ষে ঘটনা হয়েছে ১,০৩৫। প্রাণ হারিয়েছেন ৯৬ জন। আর চলতি বছরে ইতিমধ্যেই ৭৭৩ টি রাজনৈতিক সংঘর্ষে ঘটনায় হিংসার বলি হতে হয়েছে ২৬ জনকে। ফলে যে হারে রাজনৈতিক সংঘর্ষ বাড়ছে, তাতেই স্পষ্ট, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পশ্চিমবঙ্গ ব্যর্থ বলেই রাজ্যকে পাঠানো অ্যাডভাইসারিতে উল্লেখ করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজনৈতিক সংঘর্ষ নিয়ে রিপোর্ট চেয়েই থেমে থাকেনি অমিত শাহর মন্ত্রক। এনআরএস কাণ্ড নিয়েও আজ পৃথক একটি ‘অ্যাডভাইসারি’ও পাঠানো হয়েছে। কর্মরত ডাক্তারদের নিরাপত্তার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে বা নিচ্ছে তা জানতে চেয়েছে কেন্দ্র। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে দ্রুত রিপোর্ট পাঠাতেও বলা হয়েছে।