বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিজেপির লালবাজার অভিযানকে ঘিরে বাড়তি সতর্ক ছিল কলকাতা পুলিস। তাদের কাছে আগাম খবর ছিল, বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা আচকমা বিক্ষোভ দেখাতে পারেন লালবাজারে। এমনকী পুলিসের বেষ্টনী ভেঙে কলকাতা পুলিসের সদর দপ্তরেও ঢোকার চেষ্টা করতে পারেন। সেই কারণে গোটা লালবাজার চত্বর এদিন মুড়ে দেওয়া হয় পুলিসে পুলিসে। ইনগেট ও আউট গেটের সামনে পুলিসের কড়া নজরদারি ছিল। হজির ছিলেন একাধিক পদস্থ কর্তা। পুলিস কর্মীদেরও পরিচয়পত্র দেখিয়েই ভিতরে ঢুকতে হয়েছে। লালবাজারের উল্টোদিকে রয়েছে ফুটপাত। সেখানে একাধিক স্থায়ী ও অস্থায়ী দোকান রয়েছে। এদিন ফুটপাত ছিল পুরোপুরি ফাঁকা। কাউকেই বসতে দেওয়া হয়নি। এমনকী স্থায়ী দোকানের শার্টারও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই এলাকায় কার্যত বন্ধের ছবিই ধরা পড়েছে। রাস্তাঘাটও ছিল ফাঁকা। এমনকী এই এলাকায় যে সব বড় বড় বাড়ি রয়েছে, তার গেটও আগে থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। ছাদে যাতে কেউ লুকিয়ে থাকতে না পারেন, সেজন্য সেখানেও পুলিস মোতায়েন করা হয়। পথচলতি মানুষ যাতে লালবাজার সংলগ্ন রাস্তায় নেমে পড়তে না পারেন সেজন্য গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় ফুটপাত।
পুলিস কর্তাদের আশঙ্কা ছিল, ফুটপাত দিয়ে সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে লালবাজারে ইন গেটের কাছাকাছি চলে আসতে পারেন বিজেপির কর্মী ও সমর্থকরা। সেই কারণে ফুটপাতে কাউকে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। কেউ দাঁড়াতে গেলেও, তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির মিছিল ফিয়ার্স লেনে আটকানোর পর লালবাজারের উল্টোদিকের ফুটপাতে সাধারণ মানুষের যাতায়াত অল্প কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাতে মিছিলের সমর্থকরা ওই এলাকায় ঢুকতে না পারেন। ফলে পথচারীরা সমস্যায় পড়েন। পাশাপাশি বিজেপির কর্মী ও সমর্থকরা যাতে বাসে চড়ে এসে লালবাজারের সামনে নেমে হঠাৎ করে বিক্ষোভ দেখাতে না পারেন, সেজন্য এই রাস্তা দিয়ে বাস চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয় আগেই। কেবলমাত্র ছোট গাড়ি চলাচলের জন্য খোলা রাখা হয়ছিল লালবাজারের সামনের রাস্তা।