পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে নিশানা করে বারবার অভিযোগ করছেন, বাংলাকে ওরা গুজরাত বানাতে চাইছে। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে তার সরাসরি জবাব দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির সাফ কথা, আমরা ক্ষমতায় এলে বাংলাকে গুজরাত বানাবোই। এটা আমার চ্যালেঞ্জ। কারণ, আমরা চাই না রাজ্য ছেড়ে বাঙালিরা গুজরাতে গিয়ে চাকরি করুক। আমরা ক্ষমতায় এলে এখানে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। তবে এটা ঠিক, গুজরাত কখনও বাংলা হবে না। কেননা, বাংলার মতো আইন-শৃঙ্খলার চরম অবনতি গুজরাতে নেই হবেও না। অন্যদিকে, এদিনের কর্মসূচি প্রসঙ্গে সর্বভারতীয় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। না হলে তাঁর পুলিস এদিন যে কায়দায় বিনা প্ররোচনায় জল কামান-কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ল, তা গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত লজ্জাজনক। আপনারা কি রাষ্ট্রপতি শাসন চাইছেন? জবাবে মধ্যপ্রদেশের এই নেতা বলেন, এখনই তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে ভবিষ্যতে কী হবে, তার সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে, এনআরএস কাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। এদিন রাজ্য দপ্তরে চিকিৎসক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপি সভাপতি। দিলীপবাবুর কথায়, সার্ভিস ফার্স্ট বাট সিকিউরিটি মাস্ট। বিজেপির এই এমপি অভিযোগ করেন, পুলিসি নিরাপত্তায় এই জুনিয়র ডাক্তারদের ইচ্ছাকৃতভাবে পেটানো হয়েছে। হবু চিকিৎসকরা এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলেও কোনও এফআইআর কিংবা কোনও দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার হয়নি। যদিও রাজ্যবাসীর তথা সমাজের কথা মাথায় রেখে জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষের আবেদন, কয়েকজন দুষ্কৃতী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তার জন্য গোটা সমাজকে শাস্তি দেবেন না। কর্মবিরতি তুলে নিয়ে মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন বিজেপি সভাপতি। পাশাপাশি প্রশাসনের কাছে রাজ্যের সর্বত্র সব চিকিৎসকদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিও তুলেছেন দিলীপ ঘোষ।