বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
তিনি নিজের জীবনের কথা তুলে ধরে বলেন, মা-বাবা, পরিবারের যত্ন নেবে। তাঁরা তোমাদের জন্য কাজ করে কখন জীবনের মধ্যাহ্নে পৌঁছে যান, সেটা তাঁরা বুঝতে পারেন না। মধ্যাহ্ন থেকে সায়াহ্নে পৌঁছন তাঁরা। নিজের মা-বাবার ক্ষেত্রেও দেখেছি। মন দিয়ে পড়াশোনা কর। কিন্তু মুখ গুঁজে পড়ে ঘাড়টা বেঁকিয়ে দিও না। তাহলে বয়সকালে স্পন্ডিলাইটিসের সমস্যা হতে পারে। মাথা বেশি গরম করবে না। হাসিখুশি থাকবে। গান শুনবে। যে সিনেমা দেখার প্রয়োজন, সেটা দেখবে। এই কৃতীদের গড়ে তুলতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকারও ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
কলকাতা পুলিসের কমিশনার অনুজ শর্মা মঞ্চে এসে বলেন, আমার কাজ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী আজ আমাকে একটু অন্য বিষয়ে কথা বলার সুযোগ দিয়েছেন। এর পরেই তিনি কৃতীদের সিভিল সার্ভিসে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই রাজ্যের অনেক দক্ষ অফিসার প্রয়োজন। তোমরা এগিয়ে এসো। মুখ্যমন্ত্রী পরে তাঁর ভাষণে সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমাদের আরও সিভিল সার্ভেন্ট প্রয়োজন। কমিশনার ঠিকই বলেছেন। তোমরা ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ইতিহাস ভূগোল, এরকম অন্যান্য অনেক কিছুই পড়বে। একই সঙ্গে সিভিল সার্ভেন্ট হওয়ার ব্যাপারেও এগিয়ে এসো।
কেউই যাতে কলেজে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হন, তা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখার জন্য প্রায়ই অনুরোধ করে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনও তিনি সেকথা বলেন। তাঁর বক্তব্য, মেধা, নম্বর, যোগ্যতার মাপকাঠি তো রয়েছেই। সেটা তার মতো থাকবে। মেধাবীরা ভালো জায়গায় সুযোগ পাবে। কিন্তু অনেকেই আছেন, যাঁরা হয়ত অনেক কষ্ট করেও কম নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু তাঁর উচ্চশিক্ষার তীব্র ইচ্ছা রয়েছে। এরকম ছাত্রছাত্রীরা যেন বঞ্চিত না হন। এটা কীভাবে করতে হবে, তা শিক্ষামন্ত্রীকেই ভাবতে বলেন তিনি। কৃতীদের মনে করিয়ে দেন, তাঁরা রাজ্য সরকারের বিবেকানন্দ স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্য। কেউ চাইলে আবেদন করতে পারেন। আর আবেদন করলে সেটা তাঁদের দেওয়া হবে। শিক্ষামন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, রাজ্যে ৪২টি বিদ্যালয় এবং ৫০টিরও বেশি নতুন কলেজ হয়েছে। এর ফলে ৫০ হাজার আসন বেড়েছে। কেউ যাতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হন, সে ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট। এদিন মেধা তালিকায় থাকা মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, আইসিএসই, আইএসসি এবং সিবিএসই’র মোট ৩৫৪ কৃতী ছাত্রছাত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাঁদের ল্যাপটপ, ঘড়ি, মেডেল, চকোলেট সহ ১৮টি উপহার দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের লেখা এবং অন্যান্য বই।