কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
রাজনৈতিক হিংসা তো চলেছেই, তার উপর রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা স্তব্ধ। এই ঘটনা বাংলার সামগ্রিক প্রশাসনিক ব্যর্থতাকেই প্রকট করেছে বলে মনে করেন অধীর। পুলিসকে দিয়ে এতদিন তাঁদের দমন করা হয়েছে। দলদাসে পরিণত পুলিস ও প্রশাসনের কর্তারা লোকসভা ভোটের পর রাজ্যের শাসকদলের কথা আর শুনছে না। অধীরের মতে, ভোটের ফলে উৎসাহিত বিজেপি ক্ষমতা দখলে ব্যগ্র হয়ে শাসকদলের সঙ্গে সংঘাতে জড়াচ্ছে। অন্যদিকে ভোটে ধাক্কা খেয়ে হতাশা থেকে হিংস্র আচরণ করে চলেছে তৃণমূল। এই দুইয়ের মধ্যে পড়ে রাজ্যবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দুই পক্ষকে হিংসা ছেড়ে রাজনীতির লড়াইয়ে থাকার আবেদন জানিয়ে অধীর বলেন, এই অবস্থায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে কোনও লাভ হবে না। উল্লেখ্য, বিজেপি নেতৃত্ব মনে করে রাজ্যে সংবিধানের ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিজেপি নেতৃত্বের সেই দাবি প্রসঙ্গে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির মন্তব্যের জেরে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। এদিন সেই বিষয়ে অধীর বলেন, দুই দল পরিকল্পিতভাবে গোলমালে জড়িয়েছে। তাঁর ব্যাখ্যা, তৃণমূল ও বিজেপি যদি হিংসা ও পাল্টা হিংসা বন্ধ না রাখে, তাহলে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হতে বাধ্য। তাই হিংসা থামাতে তারা যদি আন্তরিক হয়, তাহলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। একতরফা কেন্দ্রের শাসনে তা মোটেই সম্ভব নয়।
এদিন নীলরতন সরকার হাসপাতালের গোলমালের জেরে গোটা রাজ্যেই চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র হাসপাতালে নিরাপত্তা রক্ষায় প্রশাসনের ব্যর্থতাকেও নিশানা করেছেন। তাঁর দাবি, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত, জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। কেননা, গোটা রাজ্যেই স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটায় সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, এইসব গোলমাল মোটেই কোনও বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার দ্রুত অবনতির ছবি ফুটে উঠছে বলে মনে করেন তিনি। তৃণমূল ও বিজেপি প্রতিযোগিতামূলক হিংসার বাতাবরণ তৈরি করেছে। এর বিরুদ্ধে জনমত গড়তে আগামী ১৪ জুন ময়দানে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে কংগ্রেস অবস্থানে বসবে বলে জানিয়েছেন সোমেন মিত্র।