রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পূর্ত দপ্তরের মতোই মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে পড়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। ওই দপ্তরের কাজ উল্লেখ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাঁকুড়ায় পানীয় জলের জন্য পাইপলাইন ফেলা হয়েছে। কিন্তু মাটির তলায় আর সেই পাইপ বসেনি। এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। দিন কয়েক আগে এই দপ্তরের দায়িত্ব নিয়েছেন ডঃ সৌমেন মহাপাত্র। তিনি মঙ্গলবারই দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে পাইপ কেন ফেলে রাখা হয়েছে, তা জানতে চান। বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আলোচনা করতে আগামীকাল, বৃহস্পতিবার সব প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। এ ব্যাপারে সৌমেনাবাবু বলেন, ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন পাইপ পড়ে আছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। কোথায় কোথায় কোন প্রকল্পের কাজের কী অগ্রগতি হয়েছে, তারও বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। দ্রুতগতিতে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনার পর সব দপ্তরেই নাড়াচাড়া পড়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ তুলেছিলেন, ভোটের সময় সিলেক্টিভ লোডশেডিং করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ‘পাওয়ার কাট’ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা সৃষ্টি করতে কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এইসব বিষয় নিয়ে এদিন মুখ্যসচিব মলয় দে বিদ্যুৎ সচিব সুনীল গুপ্তার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে বিদ্যুৎ দপ্তরের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। প্রসঙ্গত, মলয় দে অতীতে খুব সফলভাবে বিদ্যুৎ দপ্তরের দায়িত্ব সামলাছেন। তাঁর আমল থেকেই রাজ্যে লোডশেডিং বন্ধ হয়ে যায়। এখনও এই দপ্তর নিয়ে তাঁর খুবই আগ্রহ রয়েছে। একইরকম ভাবে ডিজিটাল রেশন কার্ড নিয়ে খাদ্য দপ্তরের উপরে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সেই বিষয়ে খাদ্য দপ্তরে বৈঠক হয়।