রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক কর্মী হওয়ার আগে একজনকে মানবিক হতে হবে। তিন মাসের বাচ্চাকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। যে দলের লোকই করুক, এরকম ঘটনা তো ঘটছে। সন্দেশখালি প্রসঙ্গে বলেন, ওদের (বিজেপির) দু’জন মারা গিয়েছেন। কেন মারা গিয়েছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, তারাই প্রথম কায়ুমকে মেরেছিল। কীভাবে তাঁরা মারা গিয়েছেন, নিজেদের গুলিতেই মারা গিয়েছেন কি না, সে ব্যাপারেও সন্দেহপ্রকাশ করেন তিনি। এদিনও তিনি যখন অনুষ্ঠানস্থলে আসছিলেন, দু’জন কর্মীর মৃত্যুর খবর পেয়েছেন। তিনি বলেন, জগদ্দলে দু’জন মুসলিমকে খুন করে দিল। আজও গলসিতে একজন হিন্দুকে খুন করা হয়েছে। ফলপ্রকাশের পর যে ১০ জন খুন হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আটজনই তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু দল নির্বিশেষে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাজ্যপাল দিল্লিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তাতে ১২ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছেন। সেটা নিজেই একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া ইন্টারভিউতে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এই প্রসঙ্গে বিস্ফোরক হয়ে ওঠেন মমতা। তিনি বলেন, মারা গিয়েছেন ১০ জন, আর গভর্নর কাল বলে এলেন, ১২ জন খুন হয়েছে। সংবাদমাধ্যমটির নাম করে তিনি বলেন, সেখানে না কোথায় যেন তিনি রাজনৈতিক ভাষণ দিয়ে দিলেন। আমি রাজ্যপালকে সম্মান করি। কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক ভাষণকে করি না। সবারই সাংবিধানিক সীমা-পরিসীমা রয়েছে। আমিও তার মধ্যে থাকি। তাই এর বেশি কিছু বলছি না। এরপর বলেন, বিচারালয় নিয়ে কিছু বলছি না। আপনারাই বুঝে নিন। স্পিচ ইস সিলভার, সাইলেন্স ইজ গোল্ড। অর্থাৎ এক্ষেত্রে তাঁর হিরন্ময়ী নৈঃশব্দই যা বলার বলে দিচ্ছে।
সংবাদমাধ্যমকেও তিনি চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, মিডিয়া এখন বিজেপির পকেটে। উত্তরপ্রদেশে যে ২৫ জন যাদব খুন হয়েছেন, সেটা কেউ লিখবে না। মানুষ মরে গেলে মিডিয়ার কাছে গিয়ে বিচার পাবেন না। একজনই সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। ফেসবুক, ফেকবুক দিয়ে কত কী অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমাদের চার-পাঁচজন কমবয়সি ছেলেমেয়ে আর কতটুকু আটকাতে পারবে! যেটুকু পারবে করবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী হেয়ার স্কুল থেকে বেরিয়ে বিদ্যাসাগর কলেজে যান। সেখানে বিদ্যাসাগরের মূর্তি পুনঃস্থাপনের পর তাঁকে রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। তিনি উত্তরে বলেন, অত সহজ নয়। এটা বলা সহজ। বিজেপিকে বলুন, দলকে নিয়ন্ত্রণ করতে। আমরা কেউ হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। চুড়িটা আমরা হাতে পরি, আবার কাজেও লাগাই। অত সস্তা নয়, বাংলাকে আঘাত করলে তার প্রভাব সারা বিশ্বে পড়বে। এখানে তাঁকে ফের রাজ্যপাল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়। তিনি এবার সাবধানী হয়ে ওঠেন। তিনি বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে আমি বা রাজ্যপাল কেউ কারও প্রসঙ্গে কথা বলতে পারি না। জোর করে হিন্দি চাপানোর বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিজেপি আমাদের ভাষা, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির উপর একযোগে আঘাত হানছে।