বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মূর্তি ভেঙে সেই মনীষীকে মন থেকে ভুলিয়ে দেওয়া যায় না, এটা যেমন ঠিক, আবারও এটাও ঘটনা, ওরা মূর্তি ভাঙবে আর আমরা গড়ে দেব, এটা কোনও সমাধান হতে পারে না। প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি এও বলেন, মূর্তি ভাঙার রাজনীতি আমাদের নয়। ৩৪ বছরের একটি শাসনের অবসান হলেও আমাদের কিন্তু সেই সময়ে তৈরি হওয়া মার্কস, লেনিনের মূর্তি ভাঙতে হয়নি। কিন্তু সেসব কারা ভাঙছে, পেরিয়ারের মূর্তি কারা চূর্ণ করছে, সেটা আপনারা জানেন। বাংলাকে গুজরাত হতে দেব না। আমরা গুজরাতবাসীদের ভালোবাসি। কিন্তু দাঙ্গাবাজদের নয়। সব ভাষাই আমরা শিখব। কিন্তু সেটা কখনওই বাংলাকে বাদ দিয়ে নয়। উল্লেখযোগ্যভাবে এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে অন্য অনেক বিশিষ্টদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গর্গ চট্টোপাধ্যায়। তিনি ‘বাংলা পক্ষ’ নামে বাঙালি ভাষা অস্মিতা জাগরণকারী একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা।
তাঁর হিন্দুত্ব নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, সে প্রসঙ্গ এদিন নিজেই তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, তারাপীঠ, বক্রেশ্বর, তারকেশ্বরে, ফুরফুরা শরিফে উন্নয়ন করেছি, স্বামীজির বাড়ি, ভগিনী নিবেদিতার বাড়ি বেদখল হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছি। তারপরেও শুনতে হচ্ছে, আমি কি হিন্দু? অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাহিত্যিক আবুল বাশারের উদ্দেশে বলেন, কেউ যদি বলে উনি মুসলিম বলে তাঁকে বের করে দিন, সেটা কি মেনে নেব? আমার মাথা কেটে নিলেও এটা আমাকে দিয়ে কেউ করাতে পারবে না। এটা শুনে আবেগতাড়িত আবুল বাশার তাঁর পাশে বসা মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের হাত জড়িয়ে ধরেন। দৃশ্যতই উচ্ছ্বসিত ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মূর্তি ভেঙেও ওদের আফশোস নেই। বলছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করেছে। ওরা করলে আমিই চড় মারতাম না? এখন যিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন, সেই অমিত শাহের র্যা লি থেকেই হামলাটি হয়েছিল।
মূর্তি ভাঙা প্রসঙ্গে বিদ্বজ্জনরাও নিন্দায় মুখর হয়েছেন। সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, মূর্তি ভাঙা সহজ। কিন্তু ভাবমূর্তি অত সহজে ভাঙা যায় না। সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় তালিবানের হাতে বৌদ্ধমূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, সেই মূর্তি ভাঙার পরে বুদ্ধদেবকে কি মন থেকে মুছে ফেলা গিয়েছে? তিনি মনে করিয়ে দেন, শ্রীরামকৃষ্ণ যেদিন বিদ্যাসাগরের সঙ্গে দেখা করতে যান, সেটাও ছিল ১১ জুন। নাট্যকার রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত মেয়ে সোহিনী সেনগুপ্ত বলেন, মূর্তি ভাঙার কথা শুনে কেঁদে ফেলেছিলাম। শিল্পী শুভাপ্রসন্ন, কবি সুবোধ সরকার এবং শিক্ষক তথা সাহিত্যিক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়িও মূর্তি ভাঙার ঘটনার কড়া সমালোচনা করেন।