কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
ন্যাটমোর অধিকর্তা তপতী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আঞ্চলিক ভাষাতে মানচিত্র তৈরি করার কাজ তাঁরা অনেকদিনই শুরু করেছেন। এবার ব্রেইল মানচিত্রও প্রথমবার কোনও আঞ্চলিক ভাষাতে প্রকাশিত করা হল। এদিন পশ্চিমবঙ্গের একটি গোটা ব্রেইল মানচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে গোটা দেশের ব্রেইল মানচিত্র সম্বলিত একটি বইও প্রকাশ করা হয়। তিনি আরও বলেন, প্রথম আঞ্চলিক ভাষাতে এদিন এটি প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়াও হিন্দি, ইংরেজি, গুজরাতি এবং ওড়িয়া ভাষাতেও এই মানচিত্র তৈরি করার কাজ শুরু করা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে দেশের আরও একাধিক আঞ্চলিক ভাষাতেও এই মানচিত্র তৈরি করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিকে, এদিন মানচিত্র প্রকাশের পর শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দৃষ্টিশক্তিহীন পড়ুয়াদের প্রায় ৬০-৭০ জন শিক্ষকরা একটি ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পড়ুয়ারা এই নয়া ব্রেইল মানচিত্র কীভাবে দেখবেন, সেবিষয়ে এদিন শিক্ষকদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। রাজ্যের সমাজ কল্যাণ দপ্তরের বিশেষভাবে সক্ষম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনার দেবব্রত চট্টরাজ বলেন, রাজ্যের এই মুহূর্তে নথিবদ্ধ স্কুলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় ২২-২৩ হাজার পড়ুয়াদের দৃষ্টিশক্তি নেই বা কম। এই নতুন উদ্যোগের ফলে তাঁরা বিপুলভাবে উপকৃত হবে। তবে এই মানচিত্র যাতে তাঁরা সঠিকভাবে বুঝতে পারেন, সেবিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও সঠিক প্রশিক্ষণ প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। এবিষয়ে পরবর্তী পর্যায়ে ন্যাটমোকে আরও প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার আবেদন জানান তিনি। এবিষয়ে রাজ্য সরকারও সবরকম সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানান।
ন্যাটমোর অধিকর্তা তপতীদেবী আরও জানান, এদিন যে মানচিত্র এবং মানচিত্র সম্বলিত বইটি প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি রাজ্যের সমস্ত স্কুলকে (যেখানে দৃষ্টিশক্তি নেই বা কম এরকম পড়ুয়াদের পড়ানো হয়) বিনামূল্যে বিলি করা হবে। একইসঙ্গে তিনটি ভাষাতে (বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি) বিশেষ অডিও ক্যাসেট দেওয়া হবে স্কুলগুলিকে। সেগুলি শুনেও মানচিত্রটি কীভাবে বুঝতে হবে, সেটা জানতে পারবে পড়ুয়ারা।