বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির হিংসা পরবর্তী সময়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় সমেত বিজেপির সর্বভারতীয় স্তর থেকে নানা নেতা এ রাজ্যে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করার পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করেছেন। রাজ্য থেকে নির্বাচিত কেন্দ্রের এক মন্ত্রী ৩৫৬ ধারা প্রয়োগই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একমাত্র দাওয়াই বলে ট্যুইটবার্তায় দাবিও করেছেন। যদিও এদিন কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি নেতা মুকুল রায় জানিয়েছেন, সরকার ভাঙার কোনও খেলায় বিজেপি নেই। এই সংক্রান্ত জল্পনা আরও বেড়েছে এদিন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির বৈঠকের পর। ওই বৈঠকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল রিপোর্ট জমা দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বৈঠক শেষে রাজ্যপাল সাংবাদিকদের জানান, যা বলার তিনি জানিয়ে এসেছেন। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, গোটা দেশে নির্বাচনী সাফল্যের পরেও এ রাজ্যে সংবিধানের ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করার মতো অবস্থায় নেই কেন্দ্র। কারণ ধারা প্রয়োগের বিষয়টি সংসদের দুই কক্ষে অনুমোদন করাতে হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে লোকসভায় তা সম্ভব হলেও, রাজ্যসভায় তা এখনই করতে পারবে না বিজেপি। তাছাড়া নির্বাচিত মমতা সরকার ভাঙলে, সহানুভূতির ঝড় যে তৃণমূলের পক্ষে যাবে, তা গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করা অসম্ভব জেনেও, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই এই জুজু গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে দেখানো হবে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, রাজ্যে কয়েকটি আসন পেয়ে বিজেপি নিজেদের ‘ভগবান’ ভাবতে শুরু করেছে। গেরুয়া শিবিরের প্ররোচনাতেই রাজ্যে হিংসা হচ্ছে বলে এদিন ফের বলেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, ভোটের পর থেকেই রাজ্যের কয়েকটি জেলায় পরিকল্পিতভাবে গণ্ডগোল পাকাচ্ছে বিজেপি। বাংলায় অশান্তির পরিবেশ তৈরি করে তাঁর সরকারকে চাপে ফেলার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। কিন্তু সেই পরিকল্পনা এখানে কার্যকর করা অত সহজ নয় বলেও পাল্টা বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।