পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নারদ ফুটেজে শাসকদলের বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে (যদিও এই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি বর্তমান)। এই ছবি সামনে আসার পর রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন পড়ে যায়। বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। ওইসব নেতারা দাবি করেন, ফুটেজটি জাল। কাটছাঁট করে তা দেখানো হয়েছে। এমনকী বলা হয়, কণ্ঠস্বরও তাঁদের নয়। প্রযুক্তির কারিকুরি করে তাঁদের কণ্ঠস্বর হিসেবে দেখানো হয়েছে। এরপরই সিবিআই সিদ্ধান্ত নেয়, যাঁদের ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছে, তাঁদের সকলের ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়া হবে। সেই মতো ১৪ জনের কাছেই তা চেয়ে নোটিস যায়। কিন্তু মুকুল রায় ও ফিরহাদ হাকিমই কেবলমাত্র এই তাঁদের কণ্ঠস্বরের নমুনা দেন। যার রিপোর্ট তদন্তকারী সংস্থার কাছে এসেও গিয়েছে। বাকি ১২ জনের নমুনা পাওয়া যায়নি। এরপর নারদ তদন্ত একপ্রকার থমকে যায়।
দিল্লির নির্দেশে নারদ স্টিং অপারেশনের তদন্ত নিয়ে আবার সক্রিয় হয়েছে সিবিআই। তার প্রথম ধাপ হিসেবে ডাক পড়েছে আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জার। পরবর্তী পর্যায়ে আরও কয়েকজনকে ডাকার পরিকল্পনা রয়েছে তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের। তবে তার আগে তাঁরা সব তথ্যপ্রমাণ গুছিয়ে নিতে চাইছেন, যাতে তদন্ত ও ডাকাডাকি নিয়ে কোনও মহলে অভিযোগ না ওঠে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, সেই কারণে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১২ জনকে ভয়েস স্যাম্পেল দেওয়ার জন্য আসতে বলা হবে। এজন্য শীঘ্রই নোটিস পাঠানো হচ্ছে খবর। সেই নমুনার রিপোর্ট ফরেন্সিক ল্যাব থেকে এলেই জানা যাবে, যাঁরা নমুনা দিয়ে গেলেন, এটি তাঁদের কণ্ঠস্বর, নাকি অন্য কারও। তার ভিত্তিতেই ঠিক হবে, কাদের কাদের জেরা করার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি যদি দেখা যায়, কণ্ঠস্বর তাঁদের নয়, বিকৃত করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে ম্যাথু স্যামুয়েলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে বলে মনে করছেন সিবিআইয়ের অফিসাররা।
এদিন মির্জার কাছে ফের জানতে চাওয়া হয়, কার নির্দেশে এই টাকা তিনি নিচ্ছিলেন। এর পিছনে কে বা কারা রয়েছেন। ওই আইপিএস অফিসার কার নির্দেশে টাকা নিচ্ছিলেন, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য দিয়েছেন। তা কোথায় যেত, তাও জানিয়েছেন বলে খবর। তাঁর এই বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।