পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজ্যে প্রচার-সভায় বিরোধীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, হিংসা ছড়ানো হচ্ছে চারদিকে। কিন্তু তৃণমূলের এই অত্যাচার রুখে দাঁড়াচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। আমাকেও জেলে ঢোকাবে বলে হুমকি দিচ্ছেন মমতাদিদি। বিজেপি নেতা-কর্মীদের হুমকি দিয়ে বলছেন, তাঁদের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেবেন। বিজেপির প্রতি মানুষের এই জনসমর্থন দেখে দিদি ভয় পেয়েছেন। তাই এসব ভুল বকছেন। বিজেপিকে ৩০০ আসন পার করাবে পশ্চিমবঙ্গই। দমদম সেন্ট্রাল জেলের মাঠে বিজেপি প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যের সমর্থনে জনসভায় মোদি বলেন, দমদমের সভা এখানকার মানুষের দম দেখিয়ে দিয়েছে। বাংলায় এবার মানুষও ‘বিজেপি-বিজেপি’ বলছে।
মথুরাপুরে তিনি বলেন, তৃণমূলের গুন্ডারা এই মূর্তি ভেঙে বিজেপির উপর দোষ দিচ্ছে। এই মূর্তি ভাঙার প্রমাণও নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে তৃণমূল। মোদির প্রশ্ন, কলেজের গেটে তো তালা ছিল। তাহলে ভিতরে কারা ছিল? আমি চাই দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, কে অপমান করেছে, সব দেখেছেন বিদ্যাসাগর। এদিন, মথুরাপুরের প্রার্থী শ্যামাপ্রসাদ হালদারের সমর্থনে মন্দিরবাজারে এই নির্বাচনী জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী। সভাস্থলে ব্যাপক ভিড় দেখে উচ্ছ্বসিত মোদি তৃণমূলের উদ্দেশে বলেন, দিদি ভয় পেয়েছেন। হতাশা থেকে ধমকাচ্ছেন। এতদিন তাঁর প্রতি মানুষের যা সমর্থন ছিল, তা এখন আর নেই। তাঁর লোটাকম্বল গুটিয়ে নেওয়ার সময় এসেছে। মানুষই আপনাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে এনেছিল। এখন তারাই আপনাকে সরিয়ে দিতে চায়। এটা মেনে নিন।
দমদমে মোদি আরও বলেন, এখন প্রতি পদে আপনি নির্বাচন কমিশন থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আক্রমণ করছেন। আপনার মতোই পরিস্থিতি বামেরাও তৈরি করেছিল। সেই সময় এই কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ ভোট করায়, আপনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পেরেছিলেন। সেটা ভুলে গেলেন? দেশের গণতন্ত্র আপনার অহঙ্কারের থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে। স্বীকার করে নিন, আপনি চলে যাচ্ছেন। আপনার অহঙ্কারের এই পরিস্থিতি। মমতাকে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, আপনি এখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। দেখতেই পারেন। গণতন্ত্রে স্বপ্ন দেখায় কোনও বাধা নেই। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এবার অনেক নাম। গত দু’দিনে সব হাওয়া হয়ে গিয়েছে। এমনকী কংগ্রেসও এখন বলতে শুরু করেছে, প্রধানমন্ত্রী পদে নিজের দাবি ছাড়তে তারা রাজি রয়েছে। রাতের অন্ধকারে যারা ঢুকছে আপনি তাদের সাদরে গ্রহণ করছেন, আর বিহার-উত্তরপ্রদেশ-ওড়িশাতে থেকে এসে যারা পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নে অংশীদারি রাখছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আপনার আপত্তি রয়েছে। জয় শ্রীরাম, মা কালী বললে বা আপনাকে নিয়ে কিছু মজা করলে, আপনি তাঁদের জেলে পুরছেন। জম্মু-কাশ্মীরেও ভোট হল, সেখানে একটাও হিংসার উদাহরণ নেই। অথচ গত ছ’দফা ভোটে এ’রাজ্যে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এবারের ভোট ঐতিহাসিক ভোট হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। দিদির আচরণের জন্য এবারের ভোটকে স্মরণ করবে সবাই।