বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এরপরেই ওরা আরও একটি কদর্য কাজ করে। প্লাস্টিকের বোতলে মূত্রত্যাগ করে সেটা ছুঁড়ে মারে আমাদের দিকে। ওদের আক্রমণে ব্যবহার করা রড, বাঁশ, কাঠের বাটাম, গাড়ির যন্ত্রাংশ এবং সেই বোতলগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে জড়ো করে বিক্ষোভ দেখিয়েছি। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই আক্রমণ যারা করেছে, বিদ্যাসাগরের মূর্তি পর্যন্ত ভাঙতে যাদের হাত কাঁপেনি, দেখো, বাংলার মানুষ তাদের ঠিক ছুঁড়ে ফেলে দেবে। সেটাই এখন আমার কাছে সান্ত্বনা।
তবে, এই বিভীষিকা আমাদের মধ্যে বহুদিন থাকবে। অনেক ছাত্রছাত্রী আহত হলেও তারা প্রতিবাদ জানাতে আসতে পারেনি। কারণ, আতঙ্কে তাদের বাড়ি থেকে ছাড়েননি অভিভাবকেরা। আমরা যাঁরা হস্টেলে বা কাছাকাছি থাকি, তারাই বিক্ষোভ দেখিয়েছি। শিক্ষাঙ্গণে এরকম নোংরাভাবে আক্রমণ চালানো লোকজনের বাংলার সংস্কৃতির সঙ্গে কোনও পরিচয় আছে, এটা মানতে পারি না। তাদের কথাবার্তা শুনেও তাই মনে হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার বা অন্য কোনও রাজ্য থেকে এসে তারা র্যা লির বহর বাড়িয়েছিল। তাই এতটা আগ্রাসী হয়ে উঠতে পেরেছে তারা।