উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুপুর একটায় জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডলের সমর্থনে বাসন্তীর সোনাখালি ও ক্যানিংয়ের বাসস্ট্যান্ড ময়দানে জনসভা করেন। পরে সেখান থেকে বারুইপুরের রাস ময়দান ও সোনারপুরে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর সমর্থনে আরও দু’টি নির্বাচনী জনসভা করেন। প্রতিটি জায়গাতে মোদিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, দুর্গাপুজো ও সরস্বতী পুজো করতে না দেওয়া নিয়ে মিথ্যা বলছেন মোদি। মমতা বলেন, যদি উনি প্রমাণ করতে পারেন, তবে আমি ১০০ বার কান ধরে ওঠবস করব। তা না হলে মোদি ১০০ বার কান ধরে ওঠবস করবেন। এ নিয়ে সরাসরি চ্যালেঞ্জ রইল।
মোদি টাকা দিয়ে ভোট করাচ্ছেন বলে বাসন্তী, ক্যানিং, বারুইপুরের জনসভায় সরাসরি অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, মোদি টাকা দিয়ে এই জেলায় ভোট করানোর জন্য দলের লোকজন নামিয়েছেন। এজন্য অসমের বিজেপির নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কলকাতার একটি অভিজাত হোটেলে কোটি কোটি টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে তিনি ডেরা বেধেছেন। সেখান থেকে কখনও বাসন্তী, কখনও ক্যানিং, কখনও মথুরাপুর, কখনও মন্দিরবাজার, কখনও গোসাবাতে যাচ্ছেন। বলছেন, বিজেপিকে ভোট দাও, আর টাকা নাও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই হিমন্ত বিশ্বশর্মা সারদা চিটফান্ডের প্রায় তিন কোটি টাকা গায়েব করে দিয়েছেন। সুদীপ্ত সেন সিবিআইয়ের কাছে তা স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির খাস লোক বলে গ্রেপ্তার করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এরা কোথায় ছিলেন এতদিন? যখন এখানে আয়লা হল, যখন হাসপাতাল ছিল না, যখন সুন্দরবনে যাতায়াতের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। তখন কোথায় ছিলেন এরা? এখন সব কাজ হয়ে যাওয়ার পর বসন্তের কোকিলের মতো এসে সাজানো জায়গাতে কুহু কুহ করছে। তিনি ভোটারদের সতর্ক করে বলেন, ওই টাকা নেবেন না। কারণ, তা পাপের টাকা। এরসঙ্গে অনেকের কান্না মেশানো আছে। অনেকে টাকার শোকে মারা গিয়েছে। তাঁদের আত্মা এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে সেই টাকা নিলে ধ্বংস হয়ে যাবেন। পাশাপাশি অবশ্য তিনি পরমার্শ দিয়েছেন, আম পাকলে যেমন তা খাওয়ার পর আটিটা ফেলে দেন, তেমনই এখানে যদি কেউ টাকা নেন, তাহলেও ভোট বিজেপিকে দেবেন না। জোড়া ফুলে দেবেন। মমতার অভিযোগ, এদিন কেশপুর সহ বিভিন্ন জায়গাতে লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের গিয়ে জওয়ানরা বলছেন, মোদিজিকে ভোট দেবেন। এমন দুঃসাহস হয় কী করে জওয়ানদের? তিনি বলেন, জওয়ানদের সম্মান করি। কিন্তু এখানে যেভাবে বাছাই করা জওয়ানদের দিয়ে ভোট করানো হচ্ছে আর আমাদের লোকজনেকে মারধর করছে, তা এক্তিয়ার বহির্ভূত। ক্ষমতায় এলে তা কড়ায়-গন্ডায় বুঝে নেওয়া হবে। এদিন পর্যবেক্ষকদের বিরুদ্ধেও সরব হন মমতা। তিনি বলেন, পর্যবেক্ষরাও ভোটারদের গিয়ে মোদিকে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এটা কি মগের মুল্লক? নির্বাচন দপ্তরকে কব্জা করে মোদি যা খুশি করে যাচ্ছেন। এটা কোনওভাবে মেনে নেওয়া হবে না। ফল বের হওয়ার পর আইনি পথে যাওয়া হবে। তিনি বলেন, মোদিকে রাজনৈতিক ভাবে ভারত ছাড়া করতে হবে। এজন্য শপথ নেওয়ার ডাক দেন মমতা।