উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
কাঁকড়াঝোড়ে একটি স্কুলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসার বলেন, তাঁদের গতকাল সন্ধ্যাতেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো কোনও জওয়ানই রাতে চোখের পলক পড়েনি। শুধু ওই নির্দেশই নয়। জঙ্গলমহলের অধিকাংশ বুথেই শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় জওয়ানদের বুথ কেন্দ্রের বিল্ডিংয়ের ছাদে থাকতে বলা হয়েছিল। সেই মতো সারারাত তাঁরা ছাদেই কাটিয়েছেন। আমলাশোলের একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের দায়িত্বে থাকা ইন্সপেক্টর রাম নিওয়াস বলেন, ‘শনিবার সারারাত আমরা ছাদে ছিলাম। ওই বুথে এক সেকশন বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছিল। অর্থাৎ আটজনের কেউই রাতে ঘুমাইনি। সারারাত ছাদে জেগে থেকে চারিদিকে নজর রেখেছিলেন।’
ভোট শুরু হতেই অবশ্য পরিকল্পনায় বদল ঘটানো হয়। এদিন সকাল থেকে বুথের সামনে বা ছাদে নিরাপত্তা রাখার পাশাপাশি একেবারে ঝাড়খণ্ড সীমান্ত এলাকা হওয়ায় পাশের পাহাড়ি জঙ্গলের দিকেও প্রতিমুহূর্তে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। জঙ্গলমহলের প্রতিটি বুথেই এদিন এই একই চিত্র ধরা পড়েছে। যতটা পরিমাণ বাহিনী পাওয়া গিয়েছে, তাকে ভাগ করে করে বুথে, ভোট কেন্দ্রের ছাদে, আশপাশের জঙ্গলের দিকে সর্বদা নজর রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচন কমিশনের এই কড়া নিরাপত্তার আশ্বাসে তাই এদিন সকাল থেকেই জঙ্গলমহলের বুথে বুথে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বুথ কিছুটা খালি হয়ে গেলেও, নিয়মিত সময় অন্তর ভোটাররা ভোট দিতে এসেছেন। নিরাপত্তার আঁটসাঁটোভাব দেখে অনেককেই আবার বিকেল চারটে-পাঁচটার পরও বুথমুখী হতে দেখা যায়। এক ভোটারের কথায়, ‘শেষ কবে জঙ্গলমহলে এতক্ষণ ভোট দেখেছি মনে পড়ছে না। তবে বেশ ভালো লাগছে। কাজ থাকায় সকালে ভোট দিতে আসতে পারিনি। কাজ শেষ করে চারটের পর ভোট দিতে আসি।’ এই পরিবেশই বজায় থাকুক, চাইছে জঙ্গলমহল।