বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, এর মধ্যে পরিকাঠামোর খামতির জন্য দিল্লি তলব করা হয়েছিল পুরুলিয়া এবং কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ কর্তাদের। পুরুলিয়ার কর্তারা ইতিমধ্যেই দিল্লিতে এমসিআই কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। কোচবিহারের কর্তাদের যাওয়ার কথা ১৭ মে।
এদিকে দেশের চিকিৎসা শিক্ষার নীতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা যতই তলব করুক না কেন, তাকে কলেজ শুরুর আগের রুটিন সমস্যা বলেই মনে করছেন রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা শাখার কর্তারা। দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, বড়জোর একটু দেরি হবে। কিন্তু, আমরা নিশ্চিত, পাঁচ মেডিক্যাল কলেজ চালুর ছাড়পত্র পেয়ে যাব। নতুন কলেজ চালু করতে গেলে কমবেশি দেশের সর্বত্রই এরকম হয়। সেটাই হয়েছে। যাই হোক, দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ঠিক অনুমোদন এসে যাবে।
আসন্ন ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে এই পাঁচ নতুন মেডিক্যাল কলেজ পুরোদমে চালু করে দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে রাজ্যের। তাই এখনও এমসিআই থেকে কলেজগুলির ছাড়পত্র না মেলায় স্বাস্থ্যকর্তাদের প্রভূত দুশ্চিন্তা রয়েছে। ছাড়পত্র না মিললে কীভাবে এই ক’টি মেডিক্যাল কলেজ সময়মতো চালু হবে এবং পাঁচটির ৫০০ আসনে ছাত্রছাত্রী ভর্তি হবেন, তা নিয়েই উঠেছে বড়সড় প্রশ্ন। আর এই ছাড়পত্রের জন্য দরকার ছিল এমসিআই পরিদর্শন। সেজন্য এতদিন তীর্থের কাকের মতো বসে থাকার পর অবশেষে সদ্য সদ্য পরিদর্শন শেষ হল।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে এই নতুন পাঁচ মেডিক্যালে একবার করে পরিদর্শন করে, বিভিন্ন খামতি নিয়ে রাজ্যকে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগের তালিকা ধরায় এমসিআই। সেইমতো শুধরে নিতে উঠেপড়ে লাগে রাজ্য। এই পাঁচটির মধ্যে ডায়মন্ডহারবার বাদে চারটিতে দ্বিতীয়বারের পরিদর্শন বাকি ছিল। ফলে চিন্তাও ছিল রাজ্যের। অবশেষে পরিদর্শন শেষ হলেও, খামতি পুরোপুরি মিটল না। এখন দেখতে হবে, ১৭ মে কোচবিহার মেডিক্যাল কর্তাদের উত্তর এমসিআই-এর কাছে সন্তোষজনক মনে হয় কি না।