বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
সম্প্রতি একটি মালয়ালি টিভি চ্যানেলে দেওয়া কারাতের সাক্ষাৎকার ঘিরে সিপিএমের অন্দরে বিতর্ক তৈরি হয়। দলের বঙ্গব্রিগেড এনিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগও জানায়। এবার পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে কিছু আসনে বিজেপি’র ফল ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে কারাত ওই সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করায় এই বিতর্কের সূত্রপাত। আলিমুদ্দিনের তরফে অভিযোগ পেয়ে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি কারাতের কাছে ব্যাখ্যাও তলব করেন বলে খবর। কারাত অবশ্য তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে পাল্টা জবাব দেন। সাম্প্রতিক এই টানাপোড়েনের পর কলকাতায় কারাতের নির্বাচনী জনসভাকে ঘিরে দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বাড়তি কৌতূহল ছিল। তবে প্রকাশ কারাত এদিন সেই বিতর্ক নিয়ে কোনও মুখ খোলেননি। বরং বিজেপির তীব্র সমালোচনাই শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। একইভাবে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলকেও একহাত নেন। প্রসঙ্গত, এদিন কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী কনীনিকা ঘোষের সমর্থনে সভা করেন আরেক পলিটব্যুরোর সদস্য তথা প্রকাশ-পত্নী বৃন্দা কারাত।
বেহালার পর্ণশ্রী ও নাকতলার দুটি সভায় কারাত এদিন বলেন, এবারের ভোটে বিজেপিকে হারাতেই হবে। নাহলে কেন্দ্রে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার কিছুতেই তৈরি হবে না। মজার ব্যাপার হল, এরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলও বিজেপিকে হটানোর কথা বলছে। অথচ এই তৃণমূলের দৌলতেই একদিন বিজেপি এরাজ্যে তাদের প্রথম এমপি-এমএলএ পেয়েছিল। আসলে এই দু’দলের নীতি এবং কাজের ধারা এক। এরা মেরুকরণের রাজনীতি করে ভোটে ফয়দা তুলতে বদ্ধপরিকর। রাজ্যে যেভাবে বিজেপিকে বাড়তে সাহায্য করেছে তৃণমূল, সেটা একটা ইতিহাস। বাংলায় বামেদের শক্তি খতম করতে হিন্দুত্বের জিগিরকে মওকা দিয়েছে শাসকদল। সর্বোপরি, এই দু’দলই দেশ ও রাজ্যে সরকারের নামে তানাশাহি চালাচ্ছে। তিনি বলেন, রাজ্যের নির্বাচনে এবারেও বামেরা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই লড়াইয়ে নেমেছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যম ভোটের লড়াইকে কেবল বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখেছে।