বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই ভারতী ঘোষকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রাতেই তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। শুক্রবারও পিংলায় পথ অবরোধ করা হয়। এলাকায় মিছিল করা হয়। তবে পুলিসের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন ভারতী ঘোষ। অন্যদিকে পুলিসকে ধমকানো, কর্তব্যে বাধা দেওয়া সহ একাধিক অভিযোগে এদিন পিংলা থানার পুলিস ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৬, ৩৫৩, ৫০৬, ১৪৩, ২৯৫ (এ) সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এদিকে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার ব্যাপারে পুলিসের কাছ থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করে তা দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙের অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি টাকার উৎস নিয়েও আয়কর দপ্তরকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
যদিও এ ব্যাপারে জেলার পুলিস পর্যবেক্ষক মুকেশ সিংহকে ফোন করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জেলার পুলিস সুপার বলেন, পিংলায় পুলিস নির্দিষ্ট খবর পেয়েই ওঁর গাড়ি আটকায়। তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। পরে গাড়ি থামিয়ে টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।
জেলা পুলিস ও প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই দিন এফএসটি-র কাছে খবর আসে, বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে অনেক টাকা রয়েছে। রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ওই টিমের কাছে এই খবর আসার সময় এফএসটি ছিল পিংলার মুণ্ডমারিতে। এরপর ১১টা ২৫ মিনিট নাগাদ চারটি গাড়ি আসতে দেখা যায়। প্রথম গাড়িতে ভারতী ঘোষ ছিলেন। গাড়িতে তল্লাশি করতে চাইলে ভারতী ঘোষ অসহযোগিতা করেন। এরপর সেখান থেকে তিনি চলে যান। খবর দেওয়া হয় পুলিসে। মণ্ডলবার এলাকায় পিংলার ওসি তাঁর গাড়ি আটকান।
পুলিস সূত্রের খবর, তল্লাশির জন্য পুলিসের তরফে বারবার অনুরোধ করা হয়। পুলিসের পদস্থ কর্তারাও ঘটনাস্থলে আসেন। আসেন ঘাটাল কেন্দ্রের একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সপেনডিচার অবজার্ভার। তর্কবিতর্ক চলে বেশ কিছুক্ষণ। এরপর টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরে সিজার লিস্টে বারবার সই করার জন্য অনুরোধ করা হলেও তিনি তা করেননি। মেজাজ হারিয়ে গাড়িতে উঠে পড়েন ভারতী।
পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে ভারতী ঘোষ বলেন, কর্মীদের উপর আক্রমণ হচ্ছিল শুনে আমি এখানে এসেছিলাম। সকলের টাকা পকেট থেকে বের করে ওই ব্যাগে ভরা হয়েছে। ১ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা বলা হচ্ছে, তাতে আমাদের গাড়িতে যারা ছিল, তাদেরও টাকা ছিল। আমি ১০ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলেছিলাম। সেই কাগজ দেখাতে চেয়েছি। কিন্তু ওঁরা দেখতে চাননি। সিজার লিস্টে আমি সই করিনি। কারণ, অন্যায় কাজ আমি করব না।
এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ঠিক কী হয়েছে, তা আমি জানি না। এই সময় নগদ টাকা নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আছে। তবে, আইন আইনের পথে চলবে।
জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, আমরা অনেকদিন ধরেই বলছিলাম, উনি টাকা বিলি করে ভোট কিনতে চাইছেন। মানুষই পুলিসে খবর দিয়ে ওঁকে ধরিয়ে দেন। যত দ্রুত সম্ভব ওঁকে গ্রেপ্তার করে প্রার্থীপদ বাতিল করা হোক।