বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
এই অবস্থায় তাঁর পক্ষে এবার আর কোথাও প্রচারে যাওয়া সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন সুধাকররা। সাধারণ সম্পাদক তাঁকে সেই পরামর্শই দিয়েছেন। তবে শুক্রবার কানহাইয়ার এই খবর শুনে স্বাভাবিকভাবে বেজায় হতাশ হয়ে পড়ে বাংলার বাম শিবির। বিশেষ করে শেষ দুই দফার ভোটে কয়েকটি কেন্দ্রে তাঁকে দিয়ে সভা করানোর জন্য তোড়জোড় চলছিল। সুপার সাইক্লোন ফণীর কারণে চতুর্থ দফার ভোটের আগে কানহাইয়ার প্রচার কর্মসূচি বাতিল হয়। কিন্তু তারপর গত এক সপ্তাহ ধরে তাঁর কোনও হদিশ ছিল না নেতৃত্বের কাছে। এখন হদিশ মিললেও তিনি যে আর বাংলা সহ অন্য কোনও রাজ্যে এবার প্রচারে ঝাঁপাতে পারবেন না, সেটা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। মোদি-মমতার হাই-ভোল্টেজ প্রচারের জেরে অনেকটাই ব্রাত্য হয়ে পড়া বাম শিবিরকে যে খবর যথেষ্ট ধাক্কা দিয়েছে শেষ লগ্নে।
সংসদীয় রাজনীতির লড়াইয়ে নামার জন্য প্রথমবারের জন্য এবারের নির্বাচনকেই বেছে নিয়েছিলেন কানহাইয়া। কেন্দ্র থেকে মোদি সরকারকে হটানোর লক্ষ্যে আদাজল খেয়ে নামা জেএনইউ-এর এই ছাত্র নেতা বিহারের বেগুসরাই কেন্দ্র থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহকে যথেষ্ট টক্কর দিয়েছেন এই লড়াইয়ে। তাঁর হয়ে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছাত্র-যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীরা স্বেচ্ছায় বেগুসরাইয়ে হাজির হয়েছিলেন। তেমনই একজন ছিলেন করমচাঁদ। হিমাচলপ্রদেশের চাম্বার বাসিন্দা করমচাঁদ বেশ ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন কানহাইয়ার। ২৯ এপ্রিল বেগুসরাইয়ে বন্ধু কানহাইয়ার ভোট শেষে করমচাঁদ বাড়ি ফিরছিলেন। কিন্ু্ দুর্ভাগ্যবশত তাঁর গাড়ি পাহাড়ের খাদে পড়ে যায়। সেই দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। এই খবর কানহাইয়া পাওয়ার পর থেকেই মানসিকভাবে প্রচণ্ড ভেঙে পড়েন সিপিআইয়ের এই তরুণ নেতা। সেই সময় থেকেই তিনি তাঁর মোবাইল ফোন সুইচড অফ করে দেন। সটান চলে যান চাম্বায়। সেখানে করমচাঁদের পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি প্রয়াত কমরেডের স্মরণসভায় যোগ দেন।