বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
গত কয়েক বছরে একাধিক বাংলাদেশি ধরা পড়েছে এরাজ্যে। তাদের মধ্যে যেমন জেএমবি জঙ্গি রয়েছে, তেমনই সীমান্তের ওপারে ব্লগার খুনে অভিযুক্তও রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা বা মালদহের সীমান্ত দিয়েই তারা এরাজ্যে প্রবেশ করেছে। ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজর এড়িয়ে বহু বাংলাদেশি চোরাপথে ঢুকে এখনও এদেশে রয়ে গিয়েছে। তারা চুরি-ডাকাতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্ম করছে। পাশাপাশি দেশবিরোধী বিভিন্ন কার্যকলাপের সঙ্গেও তারা যুক্ত। তাদের গতিবিধি রীতিমতো সন্দেহজনক।
রেল পুলিস এলাকায় বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বাংলাদেশিদের দাপট কতটা, তা নিয়ে কিছুদিন আগেই খোঁজখবর শুরু হয়। জানা যায়, শিয়ালদহ জিআরপি ডিস্টিক্ট্রের আওতায় বিভিন্ন থানা এলাকায় তারা গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে। রেল লাইন সংলগ্ন এলাকায় ঝুপড়িই তাদের ডেরা। তাদের মধ্যে অনেকেই আবার এখানকার ভোটার কার্ডও তৈরি করে ফেলেছে।
শিয়ালদহ জিআরপি ডিস্ট্রিক্ট এলাকায় চুরি-ছিনতাই বা লুটের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে অফিসারদের নজরে আসে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবৈধ উপায়ে এদেশে আসা বাংলাদেশিরা এই ধরনের ঘটনায় জড়িত। অপরাধের পাশাপাশি তারা মাদক কারবারও চালায় রেল লাইন সংলগ্ন ফাঁকা জমিতে। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় যুক্ত বাংলাদেশিদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। গোয়েন্দারা মনে করছেন, সন্দেহভাজন এই বাংলাদেশিরা সেদেশেও অপারাধমূলক কাজকর্মে জড়িত। সেদেশে গ্রেপ্তার এড়াতেই এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছে তারা। মাঝেমধ্যে বাংলাদেশে গিয়ে অপরাধ সংগঠিত করে আবার ফিরে আসছে এরাজ্যে।
সেই কারণেই রেল পুলিস তাদের সম্পর্কে তথ্য জানতে বাংলাদেশ পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছে। এক্ষেত্রে বারাসত জিআরপির একটি কেসের সূত্র ধরেই তাদের সম্বন্ধে তথ্য চাওয়া হয়েছে। যেহেতু রেল পুলিসের পক্ষে সরাসরি বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব নয়, তাই বিষয়টি স্বরাষ্ট্র দপ্তরে পাঠানো হয়। নবান্নের তরফে বাংলাদেশ পুলিসের কাছে এদের সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর।