পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন বিমানবাবু সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে থাকা মানুষের ভোটের ঐক্য চেয়েছিলাম। সেই লক্ষ্যে অনেক আগে থেকে উদ্যোগীও হয়েছিলাম। বোঝাপড়ার প্রাথমিক শর্ত হিসেবে বাম ও কংগ্রেসের জেতা ছ’টি আসনে কেউ কারও বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার কথা ঠিক হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেস আমাদের জেতা দুটি আসনেই প্রার্থী দিয়ে দেয়। অদৃশ্য কারণেই দু’পক্ষের সমঝোতা প্রক্রিয়া বানচাল হয়। তবে শোনা যাচ্ছে, এর পিছনে টাকার খেলা হয়েছে। ধান্দার ধনতন্ত্রের কারবারিরা টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে আসরে নেমে এই সমঝোতার উদ্যোগ ভেস্তে দিয়েছে। আসলে সর্বত্রই মানি, মানি আর মানি। মানিই যে আসল হানি (মধু), সেটা ফের স্পষ্ট হয়েছে। সোমেনবাবু অবশ্য এই অভিযোগ খণ্ডন করে বলেন, বামেদের অনমনীয় মনোভাবের জন্যই জোট ভেস্তে গিয়েছে। ওরা আমাদের প্রার্থীর নাম ঠিক করে দিয়ে জোট করতে চাইছিল। রাজ্যে শক্তি কমলেও কংগ্রেস একটা জাতীয় পার্টি। এটা বিমানবাবুরা ভুলে যান। সম্মান খুইয়ে আমরা কখনও জোট করব না। আর টাকার খেলা হয়ে থাকলে সেটা বিমানবাবু প্রমাণ করে দেখান। আসলে উনি মাঝে-মধ্যেই এধরনের আবোল-তাবোল বকেন।
তবে পারস্পরিক আকচা-আকচি যাই চলুক না কেন, এদিন মালদহের জনসভা থেকে জোটভঙ্গ নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কোনও কথা না বলায় স্বস্তি পেয়েছে সিপিএম নেতৃত্ব। তারা মনে করছে, রাহুলের এই মৌনতায় এটা স্পষ্ট যে, সমঝোতা না হওয়ায় কংগ্রেস সভাপতি কিছুটা হলেও দলের প্রদেশ নেতৃত্বের উপর বিরক্ত। জোট নিয়ে আঙুল না তুললেও রাহুল অবশ্য বাম আমলে সিপিএমের আধিপত্য এবং অত্যাচারের কথা একবার উল্লেখ করেন। যার উত্তরে সিপিএম নেতৃত্ব বিশেষ কিছু বলতেই চায়নি। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তী শুধু বলেছেন, দেশ ও রাজ্যে যে যথাক্রমে বিজেপি এবং তৃণমূলই প্রধান বিপদ, সেটা রাহুলের কথায় আজ পরিষ্কার হয়েছে। আমরা সেই কারণেই এখানে বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে মানুষের ভোটকে এককাট্টা করতে চেয়েছিলাম। রাহুল সেটা বুঝলেও তাঁর দলের প্রদেশ নেতৃত্ব সেটা বুঝতে চাইল না।