বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
তবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব জোটের বল রাহুলের কোর্টে পাঠিয়ে দেওয়ায় সিপিএম তাদের অনড় মনোভাব কিছুটা শিথিল করতে রাজি হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। কংগ্রেসকে তারা সর্বোচ্চ ১১টি আসন ছাড়তে চেয়েছিল প্রথমে। আরও দু’-একটি আসন ছাড়া যায় কি না, তা নিয়ে সিপিএম নেতৃত্ব এদিন রাতেই দলের অন্দরে আলোচনা শুরু করেছে। তাই জোট একেবারে ভেস্তে যাচ্ছে বলে এদিন রাত পর্যন্ত বলতে চাইছেন না সিপিএম নেতারা। যদিও তাঁদের অনেকের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, ৪২ বছর ধরে চলা বামফ্রন্টের ঐক্য ভেঙে কংগ্রেসের দাবি মেনে জোট করার পক্ষপাতী নন তাঁরা। সেইসঙ্গে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, হুগলি বা শ্রীরামপুর, মেদিনীপুর, বসিরহাট, পুরুলিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলির সব কটি কংগ্রেসকে দিতে হবে—সেই দাবি মানাও অর্থহীন। এই পরিস্থিতিতে মেদিনীপুর থেকে দলীয় কর্মসূচি সেরে রাতে শহরে ফিরে দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সম্পাদকমণ্ডলীর বাকি সদস্যদের নিয়ে আলোচনায় বসেন।
প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর, তাদের জেতা চারটি বাদে সিপিএম তাদের আরও সাতটি আসন দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ায় দলের অধিকাংশ নেতা অখুশি। এরমধ্যে আবার পুরুলিয়া এবং বসিরহাটের মতো বাম শরিকদের হাতে থাকা আসনও রয়েছে। এই রকম জগাখিচুড়ি মার্কা জোটের কোনও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হওয়া সম্ভব নয় বলে এদিন দলীয় বৈঠকে উঠে আসে। এই অবস্থায় ঠিক হয়, সিপিএম তথা বামেদের তরফে দেওয়া আসনের প্রস্তাব সহ তাদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকগুলির বিবরণ জানিয়ে হাইকমান্ডকে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হবে। যেহেতু হাইকমান্ড বামেদের সঙ্গে জোট করার নির্দেশ দিয়েছিল, তাই এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিক হাইকমান্ড, চায় প্রদেশ কংগ্রেস। এত কম এবং গুরুত্বহীন আসনে কংগ্রেসের লড়াই করা উচিত কি না, তা ঠিক করার ভার রাহুলের উপরই ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে জোট না হলে সিপিএমের জেতা দুটি আসন রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদেও প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে আর্জি জানানো হয়েছে। রাতেই প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্রর তরফে সেই রিপোর্ট চলে যায় দিল্লি। এদিন দুপুরে সোমেনবাবু বলেন, জোট নিয়ে আমরা আলোচনা এখনও চালিয়ে যাচ্ছি। এটা ঠিক, আসন সংখ্যা এবং সেখানে জেতা বা ভালো ফলের সম্ভাবনা অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। তবে কোনও ব্যাটসম্যান নম্বইয়ের ঘরে থাকলে সে সেঞ্চুরির চেষ্টা করবেই। আমরা সেই চেষ্টাই করছি। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, তৃণমূল-বিজেপি’র বিরুদ্ধে মানুষের ভোট একত্রিত করার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। আমরা তাই সমঝোতার ব্যাপারে আশাবাদী এখনও।