বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসন্ন লোকসভা ভোটে সমস্ত বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করা উচিত। আগের দিন এমনই দাবি জানিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে সরব হয়েছিল বিজেপি। তৃণমূলের দাবি, রাজনৈতিক লড়াই নয়, এতদিন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তৃণমূলকে হেনস্তা করে এসেছে গেরুয়া বাহিনী। এবার ভোটের মুখে নির্বাচন কমিশনকেও দলীয় স্বার্থে কাজে লাগাতে তৎপর হয়ে পড়েছে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের দল। দলের দাবি, যে রাজ্যে নানা ধর্মীয় কিংবা সামাজিক পার্বণ নির্বিঘ্নে পালিত হয়, যেখানে গো-রক্ষকের নামে গণপিটুনির ঘটনা ঘটে না, সেখানে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলা বস্তুত রাজ্যবাসীকে অমর্যাদা করার শামিল। যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুনোখুনির তথ্য তুলে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি, তাও বিভ্রান্তিতে ভরা। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেসব রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন, তাঁদের ৯৯ শতাংশই তৃণমূলের সদস্য। ওইসব খুনের অভিযোগও বিজেপির বিরুদ্ধে।
রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় বসা ইস্তক যে কোনও স্তরের নির্বাচনে তাদের বিজয় অব্যাহত। বিগত বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নারদ অপারেশনের নামে যে ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল, তা নিয়ে শোরগোল তুলেছিল বিজেপি সহ বিরোধীরা। রাজ্যের শাসকদলের এক শীর্ষ নেতার ব্যাখ্যা, তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে একদিকে কুৎসা, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে হেনস্তা করার কৌশল নিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বাংলার মানুষ ওই চক্রান্ত ধরে ফেলেছিল।
সিবিআই, ইডি, আয়কর দপ্তর সহ কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে দিয়ে বিরোধীদের চাপে রাখার কৌশল গোটা দেশেই প্রয়োগ করেছে বিজেপি। মোদির শাসনকালে তার বিরোধিতা যে করেছে, তাকেই এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখিয়েছে। পরে অবশ্য এই এজেন্সিগুলির স্বাধিকার প্রশ্নের মুখে পড়েছে। যা ভারতের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এই সব অভিযোগকে সামনে এনে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে জোড়াফুল শিবির। দলের মহিলা শাখার সভানেত্রী রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ভোটে নিজেদের বিপর্যয় আঁচ করে বিজেপি ফের কুৎসার আশ্রয় নিয়েছে। রাজ্যের সব বুথ নাকি অতি স্পর্শকাতর। তাদের এই দাবি শুধু কোনও দলকে নয়, রাজ্যবাসীকেই অপমানের নামান্তর। তাই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জরুরি। কেননা নির্বাচন কমিশনকেও দলীয় স্বার্থসিদ্ধিতে ব্যবহার করতে উদ্যত হয়েছে বিজেপি। এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে ধর্নার আয়োজন করা হয়েছে। দু’দিন ধরে এই ধর্না-বিক্ষোভ চলবে। উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস পথে নেমেছে। এবারের লোকসভা ভোটে দলীয় প্রার্থীদের একচল্লিশ শতাংশই মহিলা। সংসদীয় রাজনীতিতে নারীর ক্ষমতায়নের দাবিদার মমতা এবার মোদি বাহিনীকে চাপে ফেলতে দলের মহিলা শাখাকেই এগিয়ে দিলেন বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।