বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বাঁকুড়ায় বিভিন্ন রাজ্য থেকে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, জিলেটিন স্টিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের বিস্ফোরক আসছে, সেই খবর অনেক দিন আগে থেকে পাচ্ছিলেন সিআইডির অফিসাররা। এই জেলার একাধিক জায়গায় তার মজুতভাণ্ডার রয়েছে। অবৈধ উপায়ে আনা এই বিস্ফোরক সরবরাহ করা হয় অনুমতিহীন পাথর খাদানে। চড়া দামে তা কেনে বেআইনি খাদান মালিকরা। কিন্তু ভোটের আগে এর আমদানি আরও বেড়ে যাওয়ায় সন্দেহ বাড়ে গোয়েন্দাদের। বড়সড় নাশকতার লক্ষ্যেই বিস্ফোরকের সরবরাহ বেড়েছে বলে অনুমান করেন তাঁরা। এরপরই খোঁজখবর করতে গিয়ে শালতোড়ায় একটি গোডাউনের খোঁজ মেলে। সেখানে বুধবার রাতে হানা দেন সিআইডির তদন্তকারী অফিসাররা। দেখা যায়, কার্টুন ও বস্তার মধ্যে রাখা হয়েছে এইসব বিস্ফোরক। গোডাউন থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় ৬৬৫০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ২৬৫০ কেজি জিলেটিন স্টিক এবং ৫২ হাজার ৫০০টি ডিটোনেটর। তবে সিআইডির তল্লাশির আগেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় ওই গোডাউনের মালিক।
তদন্তে জানা গিয়েছে, এইসব বিস্ফোরক নিয়ে আসা হয়েছিল ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা ও ওড়িশা থেকে। অনেকদিন ধরেই এই রাজ্যগুলি থেকে এসব আনা হচ্ছে। বাঁকুড়ার একাধিক ব্যক্তি অবৈধ উপায়ে এই বিস্ফোরক নিয়ে আসছে। ঘর ভাড়া নিয়ে এই সমস্ত জিনিস মজুত করে রাখা হচ্ছে। এই অবৈধ কারবারে যুক্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বেআইনিভাবে চলা পাথর ও কয়লা খাদানের মালিকদের যোগাযোগ রয়েছে। তারাই এগুলি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে একাধিক খনি রয়েছে। সেখান থেকে চুরি করা হচ্ছে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও জিলেটিন স্টিক। এছাড়াও লাইসেন্স ছাড়াই সেখানকার একাধিক ব্যক্তি ও কোম্পানি এই কারবার চালাচ্ছে। তাদের কাছ থেকেই এ রাজ্যের ব্যবসায়ীরা তা কিনে নিয়ে আসছে। কয়েকটি সংস্থার নাম হাতে এসেছে। তাদের সম্বন্ধে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। পলাতক গোডাউনের মালিককে ধরা গেলে জানা যাবে, কে বা কারা এই বিস্ফোরক মজুত করছিল এবং কোথায় কোথায় সরবরাহ করা হতো। তার ভিত্তিতে বীরভূম ও বাঁকুড়ার কোথায় কোথায় অবৈধ পাথর খাদান রয়েছে, তা চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে।
ভোটের সময় এই জাতীয় বিস্ফোরকের চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় গোয়েন্দাদের চিন্তা বেড়েছে। তদন্তকারী অফিসারদের কথায়, জিলেটিন স্টিকের সঙ্গে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মিশিয়ে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব। এর তীব্রতা বাড়ে। সেক্ষেত্রে কোথায় কোথায় নাশকতার পরিকল্পনা করা হয়েছিল এবং কারা এর পিছনে রয়েছে, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে।