বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
আয়কর হানা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ রাজ্যের আয়কর বিভাগের জয়েন্ট কাউন্সিল অব অ্যাকশন। অফিসার ও কর্মচারীদের যৌথ মঞ্চ এটি। তারাই গত ১১ মার্চ এই সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে এ রাজ্যের প্রিন্সিপাল চিফ কমিশনার অব ইনকাম ট্যাক্সকে। এ রাজ্যে দপ্তরের শীর্ষকর্তাকে তারা সেই চিঠিতে জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখ জয়েন্ট কাউন্সিল অব অ্যাকশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়েছিল। সেখানে কর্মীদের দীর্ঘদিনের বকেয়া দাবিদাওয়াগুলি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু প্রায় দেড় মাস কেটে গেলেও সেই দাবিগুলি মানা হয়নি, এমনটাই অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। সেই কারণেই ফের আন্দোলন কর্মসূচিতে যাচ্ছেন তাঁরা। দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে পদোন্নতি, বেতন সংক্রান্ত দাবিদাওয়া এবং ঠিকাকর্মীদের মজুরি দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা। সেগুলি যতক্ষণ না মিটছে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে, চিঠিতে এমনটাই জানানো হয়েছে। সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবেই কোনও আয়কর হানা বা তল্লাশিতে অংশ নেবেন না কর্মী ও অফিসাররা। সেই তালিকায় আছে টিডিএস সার্ভে, রিকভারি সার্ভে, স্পট ভেরিফিকেশন, সার্চ এবং সিজার। অর্থাৎ কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার আয় নিয়ে সন্দেহ থাকলে বা আয়কর জমা সংক্রান্ত গরমিলের খোঁজ পেলে, তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করবেন না আন্দোলনকারীরা। বেআইনি লেনদেন হচ্ছে, এমন খবরের সন্ধান থাকলেও আগ বাড়িয়ে সেখানে কোনও তল্লাশি হবে না বলেই জানা গিয়েছে। আন্দোলনকারীদের দাবি, যেহেতু তাঁদের সংগঠনের ছাতার তলায় প্রায় ৯৭ শতাংশ কর্মী ও অফিসার রয়েছেন, তাই এই সিদ্ধান্তে আয়কর সংক্রান্ত সব রকমের তল্লাশি থমকে যেতে বাধ্য।
এদিকে, নির্বাচনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত বেআইনি লেনদেন। কালো টাকার খেলা যেভাবে চলে, তা রুখতে তৎপর থাকতে হয় আয়কর দপ্তরকে। সেই কাজ এখন অনেকটাই থমকে গেল বলে ধারণা। তবে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কর্মী ও অফিসারদের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের কোনও আদেশ তাঁরা কখনওই অমান্য করবেন না। অর্থাৎ কমিশন থেকে বেআইনি লেনদেন সংক্রান্ত কোনও তথ্য এলে, তাকে যথাযোগ্য গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা ও পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, কালো টাকার লেনদেনের খবর অনেক বেশি থাকে আয়কর দপ্তরের অন্দরেই। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে হানা আপাতত বন্ধ। তাই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত অনেকেই। তবে আয়কর কর্তা এবং কর্মীরা জানাচ্ছেন, যত তাড়াতাড়ি কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নেবে, তত তাড়াতাড়ি তাঁরা আন্দোলন থেকে সরে আসবেন। সেক্ষেত্রে আয়কর হানা নিয়ে আর বাধা থাকবে না।