বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
সোশ্যাল মিডিয়ার নানা বিভাগকে ব্যবহারের ব্যাপারে ইদানীং প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি কমবেশি উদ্যোগী হয়েছে। সংগঠন বা সমর্থনের নিরিখে পিছিয়ে থাকলেও বিজেপি, তৃণমূলের সঙ্গে এব্যাপারে সমানে টক্কর দেয় সিপিএম। তাদের এই কাজের জন্য নির্দিষ্ট সেলও তৈরি করেছে নেতৃত্ব। নির্বাচনের আগে সেই সেলের কাজও বেড়েছে ইদানীং। বিরোধীদের খুঁত খুঁজে বের করে রাজনৈতিক আক্রমণ শানানোর পাশাপাশি নিজেদের শিবিরের পক্ষে তাতে নানা আঙ্গিকে প্রত্যাশিত আবেদন থাকছে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর এই প্রচারের মাত্রা তারা ধাপে ধাপে বাড়াবে বলে ঠিক করেছে। এজন্য আগাম কিছু পরিকল্পনাও তারা করে রেখেছে।
তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের কাছে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে কেবল আধুনিক প্রযুক্তির উপরই এবার নির্ভর করতে চাইছে না সিপিএম। সেজন্য নেতৃত্বের নির্দেশে এবার দলের যুব সংগঠন ছাপিয়েছে ওই পোস্টকার্ড। শুরু হয়েছে বিলির কাজও। পোস্টকার্ডের বয়ান দেখলে মনে হবে, কোনও তরুণ বা তরুণী তার বন্ধুস্থানীয় কাউকে তার নিজের, পরিবারের এবং দেশ ও রাজ্যের সামগ্রিক পরিবেশ নিয়ে সাবলীল ভাষায় মনের কথা খুলে লিখছে। বিষয় হিসেবে বেকারত্ব থেকে শুরু করে সাম্প্রদায়িক হানাহানির প্রসঙ্গও সেখানে মুন্সিয়ানার সঙ্গে ঠাঁই পেয়েছে। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির যুগে যোগাযোগের প্রাচীন এই মাধ্যমকে কেন বেছে নিল ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব? জবাবে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সায়নদীপ মিত্র বলেন, পোস্টকার্ড এখনও বাঙালির মননে নস্টালজিয়া হিসেবে থেকে গিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের যুগে তরুণ প্রজন্মকে সেই নস্টালজিয়ার সঙ্গে পরিচয় করানোই আমাদের এই উদ্যোগের প্রথম উদ্দেশ্য। সেই সঙ্গে কর্মীদের জনসংযোগ তৈরির জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই পোস্টকার্ড বিলির দায়িত্ব দেওয়ায় সরাসরি ভোটারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগও থাকছে।