বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
গত পঞ্চায়েত ভোটে তিরিশ শতাংশের বেশি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল। এদিন নির্বাচন কমিশনে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন বিজেপির তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, নির্মলা সীতারমণ এবং জে পি নাড্ডা। গত পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীদের অংশ নিতে তৃণমূল বাধা দিয়েছে। এই অভিযোগের সমর্থনে বিনা ভোটাভুটিতে জেতা আসনের প্রসঙ্গ টানে বিজেপি। এদিন তার পাল্টা হিসেবে মমতা বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত ভোটে ৯৮ শতাংশ আসন জিতেছে শাসকদল। অথচ তার কথা বলা হচ্ছে না। গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে এরাজ্যে হিংসার ঘটনা নগণ্য। গত পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে যত মৃত্যু ঘটেছে, তার ৯৯ শতাংশই তৃণমূল কর্মী। সব ক্ষেত্রেই বিজেপি তাদের খুন করেছে। শুধু রাজ্যের দৃষ্টান্ত নয়, বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে গো-রক্ষার নামে কত মানুষের প্রাণ গিয়েছে কিংবা ধর্ম ও বর্ণের নামে গণপিটুনিতে কতজন মারা গিয়েছে, তার হিসেব কই? বিজেপির উদ্দেশে এমনই সব প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর বক্তব্য, বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে যে অভিযোগ বিজেপি তুলেছে, তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনও সম্পর্ক নেই। বরং রাজনীতি রয়েছে। এই বিষয়ে মমতা এদিন নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক থাকার আর্জি জানিয়েছেন।
বুথগুলিকে সুপার সেনসিটিভ বলায় মমতা বলেন, আমি তো বিস্মিত। তাঁর মতে, বিজেপি ভয় পেয়েছে। তাই এমন মানসিক রোগীর মতো আচরণ করছে। তামিলনাড়ু, কেরল, গুজরাতে একদিনে ভোট হলেও বাংলায় সাত দফায় কেন? মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, বাংলা মোদি-অমিত শাহদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, তাই এখানে সাত দফা। কিন্তু কোনও কৌশলই কাজে আসবে না বলে জানিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর উপরও জোর দিয়েছে বিজেপি। এদিন তা নিয়ে কিছুটা তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে মমতা বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দেশ রক্ষা করবে কী করে? তাদের তো দেখছি বিজেপি নেতাদের পাহারা দিতেই সময় কেটে যাচ্ছে। তাঁর মতে, গঙ্গাসাগর মেলা থেকে দুর্গাপুজো, কোটি কোটি মানুষ এতে অংশ নেয়। নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় সেইসব উৎসব। কোথাও কোনও গোলমাল হয় না। সেই বাংলাকে সুপার সেনসিটিভ বলা মানে রাজ্যবাসীকে অপমান করা, দাবি মমতার। তিনি বলেন, এটা লজ্জার, একটা দল গোটা রাজ্যের মানুষকে অপমান করছে। কী দুঃসাহস! প্রতি মুহূর্তে বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। তাতে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস হলেও বিজেপির কিছু যায় আসে না।
বিজেপি মিডিয়াকে কন্ট্রোলের চেষ্টা করছে। তাই এদিন নির্বাচন কমিশনে গিয়ে মিডিয়া পর্যবেক্ষক নিয়োগের দাবি তুলেছে। এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, নির্বাচন কমিশন যেন মনে না করে যে, বিজেপি যা বলবে তাই রামায়ণ, মহাভারত। রোজ রোজ মিথ্যা প্রচার করছে। কমিশনের নিষেধ সত্ত্বেও সেনাবাহিনীর ছবি ব্যবহার করছে কেন্দ্রের শাসকদল। মিথ্যা প্রচার চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাইরের রাজ্য থেকে কোটি কোটি টাকা চার্টার্ড বিমানে করে রাজ্যে আনার চেষ্টা চলছে। এই টাকা খেলার দিকে কমিশনের নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন মমতা। তৃণমূলের একাংশকে বিজেপি দলে টানতে প্রলোভন দেখাচ্ছে। মমতা বলেন, দলের যে ক’জন ওদিকে পা বাড়িয়েছে, তারা টাকার লোভে যাচ্ছে। কেউ কেউ কেন্দ্রীয় সংস্থার হাত থেকে বাঁচতে যাচ্ছে। একদিন তারা টের পাবে। তবে এদের আমি মুক্ত করে দিয়েছি। চলে গেলে বেঁচে যাই।