বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করা হয়, রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসে, অথচ তাদের ঠিকমতো ব্যবহার করা হয় না। গতবার মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। যা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে তোলপাড় হয়। এবারের লোকসভা ভোটে যাতে এরকম কোনও অভিযোগ না ওঠে, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনী কখন, কোথায়, কীভাবে কাজ করছে, তার উপর নজরদারি চালাবে কমিশন। কোন কোন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ করল, তার বিস্তারিত বিবরণ দিল্লিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠাতে হবে। বিস্তারিত রিপোর্ট ছবি সহ কমিশনের ওয়েবসাইটেও তুলে ধরতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট পদাধিকারীদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বুথে যে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে, তা সই করে রিপোর্ট দেবেন প্রিসাইডিং অফিসাররা। শুধু লিখিতভাবেই নয়, ভোটের দিন কতজন ডিউটি করছেন, তার ছবি তুলে তাঁরা পাঠিয়ে দেবেন কমিশনের কাছে। ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি নানা অভিযোগ তোলে। এবার তাদের ভূমিকা নিয়ে রিপোর্ট করবেন সেক্টর অফিসাররা। তাঁরা ভোটের দিন টহলদারির দায়িত্বে থাকবেন। ফলে কমিশন দিল্লিতে বসে বুঝতে পারবে পশ্চিমবঙ্গের ক’টা বুথে এবং টহলদারিতে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে। তাদের ভূমিকাও জানা যাবে। তবে বুথের ধারেকাছে রাজ্য পুলিসকে ঘেঁষতে দেওয়া হবে না বলে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে এসেছিল ৬১৭ কোম্পানি। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে রাজ্যে এসেছিল ৭০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এবার রাজ্যে সাত দফার ভোটে কত বাহিনী আসবে? পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার পর কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে অনেক বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তাই রাজ্যের চাহিদামতো কেন্দ্রীয় বাহিনী নাও আসতে পারে। গতবার মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই রুটমার্চের জন্য ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। এবার আসছে মাত্র ১০ কোম্পানি। এবার পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের সঠিকভাবে কাজে লাগাতেও বলা হয়েছে। সেকারণেই টহলদারি তথা রুটমার্চের ভিডিওগ্রাফি সহ রিপোর্ট জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের ওয়েবসাইটে তুলে ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার, শেষ পর্যন্ত ভোটের কাজে কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসে।