পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
এমনিতে কংগ্রেস সখ্যের প্রশ্নে দীর্ঘদিন ধরেই টালবাহানা করছে সিপিএম কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাতের অনুগামী হিসেবে পরিচিত সিপিএমের কট্টরপন্থী কেরল লবি একেবারে গোড়া থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিপক্ষে। আবার সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত দলের বেঙ্গল লবি প্রথম থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে সখ্য গড়ে ভোটে লড়তে বেশি আগ্রহী। ২০১৬ সালে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তির বকলমে কংগ্রেসের হাত ধরে চলার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেতই দিয়েছিল সিপিএমের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি। কিন্তু সেই নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম তথা বামফ্রন্টের শোচনীয় বিপর্যয়ের পর ফের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে কার্যত সেই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয়। তারপর থেকে নয়াদিল্লিতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এ কে গোপালন ভবনে যতবার পলিটব্যুরো বৈঠকে বসেছে সিপিএম, ততবারই এই ইস্যুতে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে তা ঠেলে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির কোর্টে। দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি আবার সেই একই প্রশ্নে ধোঁয়াশা বজায় রেখে দিয়েছে পরবর্তী বৈঠকের জন্য। রাজনৈতিক মহলের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে এটিই সম্ভবত সিপিএমের শেষ কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। ফলে কংগ্রেস সখ্যের প্রশ্নে এবার একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেই হবে দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। আর সেইমতোই ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত হয়েছে বঙ্গ সিপিএম।
দলীয় সূত্রের খবর, রাজ্যে কংগ্রেসের ভোট শতাংশের হার কত, নির্দিষ্ট করে সেই তথ্য আগামী কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে দিতে চলেছে বঙ্গ সিপিএম। তাদের উদ্যোগহীনতার কারণে সেই ভোট যদি কোনওভাবে তৃণমূলের ঝুলিতে যায়, তাহলে সিপিএমের ফলাফল আরও খারাপ হবে। তৃণমূলের ঝুলিতে যদি নাও যায়, তাহলেও ভোট কাটাকুটির জেরে আখেরে লাভবান হবে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সিপিএম তথা বামফ্রন্টের কোনও লাভ হবে না। একমাত্র সিপিএম-কংগ্রেস জোট হলেই এর পুরো রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পারবে বামেরা। দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটিকে এমনই জানানো হবে। এমনিতেই গতকাল দিল্লিতে এসে পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র জানিয়ে দিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হবে না। বদলে সিপিএমের সঙ্গে জোট নিয়ে দল কী ভাবছে, তা নিয়েও কংগ্রেস আলোচনা করবে বলে দলীয় সূত্রের খবর। আর সোমেনবাবু এ কথা জানানোর পরেই পলিটব্যুরো বৈঠক শেষে সীতারাম ইয়েচুরি সমঝোতার রাস্তা খোলা থাকার ইঙ্গিত দিয়ে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের যেসব আসনে বামফ্রন্ট প্রার্থী দেবে না, সেখানে বিজেপি এবং তৃণমূল প্রার্থীদের হারানোর ব্যাপারে সর্বস্তরে আহ্বান জানানো হবে। দেশে একটি বিকল্প ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গড়ে তোলাই সিপিএমের উদ্দেশ্য। সূত্রের খবর, আগামী কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ফের একবার ভোটাভুটিতে যেতে পারে সিপিএম নেতৃত্ব।