পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
দপ্তর সূত্রের খবর, এবার চোখ বোলানো যাক চলতি অর্থবর্ষ এবং অর্থবর্ষ শেষের প্রস্তাবিত হিসেবের দিকে। ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষের ন’মাসে রাজ্যের সরকারি আউটডোরগুলিতে রোগীর সংখ্যা ১০ কোটি ছুঁইছুঁই (৯.৯৪ কোটি)। অর্থ দপ্তর শেষ হতে আর মাস দেড়েক বাকি। সেই সময়ে তা বেড়ে হতে পারে ১৩.২৩ কোটি। অন্যদিকে চলতি অর্থবর্ষের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ন’মাসে সরকারি হাসপাতালগুলির ইন্ডোরে রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ লক্ষ ৭ হাজার। অর্থবর্ষের শেষে তা বেড়ে হতে পারে ৬৬ লক্ষ ৭৬ হাজার। বাম জমানায় ইন্ডোরে রোগী ভর্তির তুলনায় বর্তমানে সাড়ে আটগুণেরও বেশি এগিয়ে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য দপ্তর। এই অর্থবর্ষের শেষের প্রস্তাবিত হিসেব ধরলে রোগীর সংখ্যা বাম জমানার তুলনায় বাড়বে ১০ কোটি ৩৪ লক্ষ!
আদর্শগত, চিন্তাভাবনার ফারাক ও আরও হাজারো বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক চলতে পারে, কিন্তু, স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিসংখ্যান বুঝিয়ে দিচ্ছে, বাম জমানাকে ধারেভারে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা।
এ বিষয়ে কী বলছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী? অজয়বাবু বলেন, আউটডোরে রোগী বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হল বিনামূল্যের চিকিৎসা। অন্যদিকে ইন্ডোরে রোগী ভর্তির হার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হল উন্নততর সরকারি পরিষেবা। কারণ, আউটডোরে দেখানোর তুলনায় ইন্ডোরে ভর্তির বিষয়ে মানুষ অনেক বেশি চিন্তাভাবনা করেন। তাই ইন্ডোরের হিসেব বলছে, বাংলার সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর ভরসা বাড়ছে মানুষের।
দপ্তরের শীর্ষ মহলের একাংশের অভিমত, এর অনেকগুলি কারণ আছে। এক, একাধিক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সাধারণ চিকিৎসার পাশাপাশি ল্যাপারোস্কপি, পেসমেকার ও সুপার স্পেশালিটি চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন। এইসব সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালগুলি নিয়ে বছর কয়েক আগেও পরিষেবার অভাবে অনেকে হাসাহাসি করতেন। দুই, নিকু, পিকু, এসএনসিইউ, এসএনএসইউ, আইটিইউ, আইসিইউ বেড ও ইউনিটের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া। তিন, বাইরে দামি ও খরচ সাপেক্ষ পরীক্ষা নিখরচায় হয়ে যাওয়া। চার, সরকারি স্টোর থেকে অনেক বেশি সংখ্যায় বিনা পয়সার দামি ওষুধ ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ। পাঁচ, বেসরকারি হাসপাতালের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি (উদাহরণস্বরূপ ক্যান্সারের চিকিৎসায় লিনিয়ার অ্যাক্সিলারেটর, রেডিওলজিতে ডিজিট্যাল এক্স-রে) সরকারি ক্ষেত্রেও চলে আসা। ছয়, অসাধারণ দক্ষ এবং সহানুভূতিসম্পন্ন চিকিৎসকদের সংখ্যা এখনও সরকারি ক্ষেত্রে অনেক বেশি। এ বিষয়ে কী বলছেন রাজ্যের নব্য চিকিৎসকদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম-এর রাজ্য সম্পাদক ডাঃ কৌশিক চাকি? তিনি বলেন, সত্যিই বিস্ময়কর! যদি এমনটাই হয়ে থাকে, নিঃসন্দেহে ভালো। কিন্তু, এটাও ঘটনা, এই বিপুল সংখ্যক রোগীর চাপ সামলানোর জন্য চিকিৎসকের সংখ্যা অনেকটাই কম। প্রত্যেক চিকিৎসকের উপর রোগীর চাপ অনেক বেশি। সেদিকেও সরকার নজর দিলে ভালো।