নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হাজিরার ক্ষেত্রে মুখ্য বিচারক কড়া মনোভাব গ্রহণ করায় ব্যাঙ্কশাল ও কলকাতা নগর দায়রা আদালতের প্রতিটি এজলাসের সামগ্রিক ছবিটাই বদলে গিয়েছে গত এক মাসে। বর্তমানে এই দুই আদালতেই প্রতিটি কর্মী সঠিক সময়ে প্রতিদিন হাজিরা দিচ্ছেন অফিসে। এমনকী নিয়ম মেনে হাজিরার খাতায় তাঁরা স্বাক্ষরও করছেন। ফলে প্রতিটি এজলাসেই কর্মসংস্কৃতি আগের থেকে উজ্জ্বল হয়েছে। বিভিন্ন সোর্স মারফত খবর পেয়ে কিছুদিন আগে কলকাতা নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারক সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলাল পর পর কয়েকদিন ব্যাঙ্কশাল এবং দায়রা কোর্টে আচমকা হানা দেন। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান, কিছু কর্মী সময় পেরিয়ে যাওয়ার অনেক পরে কোর্টে হাজির হয়েছেন। মুখ্য বিচারক চরম উষ্মা প্রকাশ করে ওই সকল এজলাসের হেড ক্লার্ককে জানিয়ে দেন, কর্মচারীরা যদি সঠিক সময়ে না আসেন, তাহলে তিনি তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন। মুখ্য বিচারকের ওই কড়া মনোভাবের পরই ধীরে ধীরে পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নতি হতে থাকে। আদালত সূত্রের খবর, গত এক মাসে দেখা যায়, প্রতিটি এজলাসেই সঠিক সময়ে হাজিরা দিয়েছেন বেঞ্চ ক্লার্করা। এদিকে, হাজিরার ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যেই মুখ্য বিচারকের এই অভিযান চলবে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।
মুখ্য বিচারকের সঙ্গে দেখা করল ল ক্লার্ক সংগঠন: আদালতের নানা সমস্যা নিয়ে কলকাতা নগর দায়রা আদালতের মুখ্য বিচারকের সঙ্গে দেখা করল ব্যাঙ্কশাল কোর্টের ল ক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশন ইউনিট। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাপন চক্রবর্তী জানান, পানীয় জল, সুলভ বাথরুম সাফসুতরো, নৈশরক্ষী বাহিনী বাড়ানো, যত্রতত্র পার্কিং ব্যবস্থা উচ্ছেদ করা সহ একাধিক সমস্যা নিয়ে তিনি মুখ্য বিচারকের সঙ্গে কথা বলেন। বিচারক বিষয়গুলি সহানুভুতির সঙ্গে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।